প্রবাস ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে গতকাল সোমবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সাথে দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠানো এবং তাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র নেতৃত্বে আবুধাবী সফররত সাত সদস্যর প্রতিনিধি দলের সদস্য ছাড়াও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামসমূহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের বিভিন্ন ইস্যুতে ভূমিকা রাখছে। এতে শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষা হচ্ছে। মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি বিদেশী কর্মীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জারি করা ডিক্রীর উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
বৈঠকে আরব আমিরাতের মানব সম্পদ মন্ত্রী সাকর গোবাশ সাঈদ গোবাশ বলেন, সর্বশেষ জারি করা ডিক্রীগুলো বিদেশী কর্মীদের মতো বাংলাদেশী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কর্মীরা নিয়োগকর্তা কর্তৃক ভিসা প্রাপ্তির আগে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগকৃত কর্মীর স্বাক্ষরসহ স্ট্যান্ডার্ড এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্টের আওতায় তাদের সব সুযোগ সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীরা নিয়োগকর্তা পরিবর্তন এবং উভয়পক্ষ পারস্পরিক নির্ধারিত নোটিশ পিরিয়ডে নোটিশ প্রদান করে চুক্তিপত্র বাতিল করতে পারবেন এবং তারা তাদের সুবিধা ও পছন্দ মতো কাজের সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশী শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও এসব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস