প্রবাস ডেস্ক : বৃটেনের লন্ডনে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ভবনে থাকা একটি বাংলাদেশি পরিবারের সন্ধান মিলছে না। আগুন লাগার পর ওই পরিবারের লোকজন বাইরে থাকা স্বজনদের টেলিফোনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন।
তবে, শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত 'গ্রেনফেল টাওয়ার' নামের আবাসিক ভবনটিতে স্থানীয় সময় রাত সোয়া একটার দিকে আগুন লাগে। গ্রিনফেল টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে কমরু মিয়া, তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিলেন।
কমরু মিয়ার ভাতিজা যুক্তরাজ্যেরই চেলসির বাসিন্দা আবদুর রহিম গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার পর রাতে তার চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তখন তিনি বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে তানিমার সঙ্গে কথা হয়। তার আকুতি এখনো আমার কানে ভাসে। সে বলছিল, আমরা সবাই এখন বাথরুমে, আমাদের বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। তাদের কারও মোবাইল ফোনেই রাত আড়াইটার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে রহিম জানান।
২৪ তলা বিশিষ্ট বিশাল এপার্টমেন্ট ব্লকে লন্ডন সময় ভোর ৫ টার দিকে এই আগুন লাগে। আগুন সতর্কীকরণ এলার্ম কাজে আসেনি কেননা তখন লন্ডনের সবাই ঘুমন্ত ছিল।
আগুনের সূত্রপাত প্রথমে নিজ তলা থেকে শুরু হয়। যেখানে ফায়ার এক্সিট সেখানেই আগুন লাগে। জীবন বাঁচানোর জন্য দু’জন লোক আগুন লাগার সময় উপর থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আগুন লাগার কিছু সময়ের মধ্যে নারকীয়ভাবে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীর আগুন নিভানোর সময় কিছু দাহ্য পদার্থ দেখতে পান। যা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন। একজন প্রকৌশলী প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মৃতের সংখ্যা দু’শ ছাড়িয়ে গেলেও আমি অবাক হব না।
এদিকে লন্ডন এম্বুলেন্স সার্ভিসের একটি টুইট বার্তা থেকে জানা যায় কমক্ষে ৩০জনকে লন্ডনের পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ২০টি এম্বুলেন্স উপস্থিত রয়েছে।
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস