প্রবাস ডেস্ক : বিশ্বের ৬৩টি দেশকে পেছনে ফেলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জাতিসংঘের সম্মাননা লাভ করেছেন। এবার সে প্রসঙ্গেই মমতাকে পশ্চিমবঙ্গের ‘নিষিদ্ধ পল্লী’ সোনাগাছি ঘুরে আসার কথা বললেন তসলিমা নাসরিন।
মমতা ব্যানার্জীর ‘কন্যাশ্রী’ চালু হয়েছিল ২০১৩ সালে। রাজ্য সরকারের সবথেকে জনপ্রিয় এই প্রকল্পটি কন্যা সন্তানদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করতে চালু হয়৷ কন্যাশ্রীর জন্য ইউনিসেফ আগেই রাজ্যকে পুরস্কৃত করে৷ এরপর ফের সেরার শিরোপা রাজ্যের মুকুটে৷ কিন্তু, রাজ্যে মহিলাদের সার্বিক উন্নতি কিছুই হয়নি। এখন অনেক পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নারীরা। এমনই মনে করেন তসলিমা।
ফেসবুকের নিজের ওয়ালে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন তসলিমা। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জাতিসংঘে মমতা ব্যানার্জীকে রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য পুরস্কৃত করেছে। চমৎকার! কন্যাদের শ্রী দেখতে চাইলে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নিষিদ্ধ পল্লী কলকাতার সোনাগাছি ঘুরে আসুন, ঘুরে আসুন কালীঘাট, বউবাজার, খিদিরপুর, লেবুতলার নিষিদ্ধ পল্লীতে, কন্যারা কী করে পূতিগন্ধময় নিকৃষ্ট পরিবেশে দাসীর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে দেখে আসুন।’
তসলিমা লেখেন, ‘কী করে কন্যাশিশু পাচার হচ্ছে, বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিষিদ্ধ পল্লী গুলোতে প্রতিদিন, দেখে আসুন। কন্যারা শুধু সম্ভমহানী নয়, গণ সম্ভ্রমহানীর শিকার হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে অলিতে গলিতে কন্যাদের শারিরীক হেনস্থা দিন দিন বাড়ছে। ঘরের ভেতর শত শত কন্যা প্রতিদিন স্বামী-শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইছে দেখে আসুন।’
নির্বাসিত লেখিকা আরো বলেন, ‘লেখাপড়া জানা কন্যারাও নির্যাতন অসহ্য হয়ে উঠলে আত্মহত্যা করছে, চলুন দেখে আসি কত শত কন্যাকে পণপ্রথার শিকার হতে হচ্ছে, বধূহত্যার হারই বা কেমন বাড়ছে দেখে আসি। বাল্য বিবাহের শিকার কত লক্ষ কন্যা, দেখে আসি চলুন। কী বলছি কী! আমি কী করে দেখবো, আমার তো পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ নিষেধ! কারণ আমি যে মস্ত বড় এক অপরাধ করেছি! কন্যাদের সমানাধিকার চেয়ে দু'ডজন বই লিখেছি!!’
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস