প্রবাস ডেস্ক: সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় তেলের দেশ কাতার। বিদেশিদের কাতারের নাগরিকত্ব দেয়ার পাশাপাশি সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথাও বলা হয়।
দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকরাও ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাতারের নাগরিক হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর শিক্ষা, চিকিৎসা সুবিধাও সরকারিভাবে দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এতে করে দীর্ঘদিন কাতারে শ্রমিকের কাজ করা বাংলাদেশিরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছেন। কিন্তু বুধবার দেশটিতে প্রবেশে ৮০ দেশের তালিকা প্রকাশ করা হলেও তাতে বাংলাদেশের নাম নেই।
ফলে সেই সুযোগের আওতায় পড়বে না বাংলাদেশিরা। কাতারের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা হাসান আল-ইব্রাহিম দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভিসার ব্যাপারে উদারতা এই অঞ্চলে কাতারকে উদার দেশ হিসেবেই চিহ্নিত করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ রাশেদ আল-মাজরুঈ বলেন, ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক এবং তেলের দেশ কাতারে কেবল ৮০ টি দেশের নাগরিক এই সুবিধার আওতায় আসবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির উপর বিবেচনা করে এই ৮০ টি দেশ বাছাই করা হয়েছে।
দেশটিতে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে গত ৩ আগস্ট সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কাতারই প্রথম এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন এই আইনের ফলে যেসকল শিশুর মা কাতারের নাগরিক কিন্তু বাবা বিদেশি তারাও দেশটির নাগরিক হয়ে যাবেন। এছাড়া কাতারে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অাগের মতো আর সেখানকার কাউকে অংশীদার হিসেবে নেয়ার দরকার হবে না। চাইলেই কেউ নিজের পছন্দ মতো ব্যবসা করতে পারবেন। জমির মালিকও হতে পারবেন।
অথচ বাংলাদেশের কেউ সেই সুযোগ পাবেন না। তারা আগের মতো নিয়মেই কাতারে থাকতে পারবেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস