প্রবাস ডেস্ক : সত্য কখনো চাপা থাকে না। সত্য একদিন প্রকাশ হবেই। রুবি নামে যে মহিলা এখন নিজের কথা বদলে ফেলেছেন, তিনি নিজেকে পাগল বলছেন। আমার কাছে মনে হয় তিনি এখন মিথ্যা বলছেন। আগেই তিনি সত্যিটা বলেছিলেন। আমরা চাই সালমান শাহ’র খুনিদের বিচার হোক। বলছিলেন মালদ্বীপ প্রবাসী আরিফুর ইসলাম।
আরিফুরের ইসলামের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। ১৯৯৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার যখন সালমান শাহ’র মৃত্যুর সংবাদ শোনেন তিনি সেদিন কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সালমান নেই, অঝোরে কেঁদেছিলেন। তখন আরিফুরের বয়স ১৬ বছর। ৪ বছরের ক্যারিয়ারের সালমান অভিনীত সব ছবি দেখেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, তখনকার সময়ে প্রায় আশ-পাশের গ্রাম মিলে মাত্র ১টা টেলিভিশন ছিল। তারা ভিসিআর সেট ও ক্যাসেট ভাড়া করে সালমান শাহ’র সিনেমা দেখতেন।
আরিফুর জানান, এখনকার এত জনপ্রিয় একজন নায়ক শাকিব খান। কিন্তু সালমান শাহ’র অভিনয় ও জনপ্রিয়তার কাছে তিনি কিছুই না।
সোমবার থেকে আমেরিকা প্রবাসী রুবি সুলতানা এক ফেসবুক ভিডিও বার্তায় জানান সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর ওই হত্যার একমাত্র সাক্ষী হলেন তিনি। পরবর্তীতে বেশ কিছু ভিডিওতে রুবি তার অবস্থান থেকে সরে আসতে থাকেন।
সবশেষ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর রুবি নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন হয়েছেন এসব নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
রুবির ওই ভিডিও বার্তাটি আরটিভি অনলাইনে প্রকাশ হবার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আরটিভি অনলাইনে ফোন আসতে থাকে। রাত ১১টার দিকে মালদ্বীপ প্রবাসী আরিফুর আরটিভি অনলাইনে ফোন দিয়ে সালমান শাহ’র খুনিদের শাস্তি দাবি করে এসব কথা বলেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস