যে কারণে আমিরাতে ঝুঁকিতে ৫০ হাজার বাংলাদেশি
প্রবাস ডেস্ক: হালনাগাদ হিসেব অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন অবস্থান করছেন ৬ লাখের বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক। এদের মধ্যে পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতায় চাপে পড়তে পারেন ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক।
সুত্রমতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়ন করাননি প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশী। এখনও তারা হাতে লেখা পাসপোর্ট পরিবর্তন করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে পূর্বঘোষিত নিয়ম মাফিক আগামী ২৪শে নভেম্বরের পরে হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। এমন নিয়ম করেছে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন। ফলে বাংলাদেশী অভিবাসীরা ওই সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পরিবর্তন করাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বলেছেন, “আমাদের নাগরিকদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা চলে গেলেও পুরনো পাসপোর্ট গ্রহণ অব্যাহত রাখবো। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট জমা দেয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে নতুন ডকুমেন্ট পাবেন। এর ভিত্তিতে সফর করা যাবে। এক্ষেত্রে যদি জরুরি বিদেশ সফর প্রয়োজন হয় তাহলে তারা নতুন ডকুমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না। এসব ঝামেলা এড়াতে অভিবাসীদেরকে সময়সীমার মধ্যে পুরনো পাসপোর্ট পরিবর্তন করিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।”
তিনি বলেন, “২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে এমআরপি দেয়া শুরু হয়। তখন থেকে সাড়ে ছয় লাখ থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার হাতেলেখা পাসপোর্ট পরিবর্তন করে এমআরপি ইস্যু করা হয়েছে।”
বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত বলেন, পুরনো পাসপোর্ট বদলে গড়ে প্রতিদিন নতুন পাসপোর্ট নিতে দূতাবাসে যাচ্ছেন প্রায় ২০০ মানুষ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২৪শে নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার পাসপোর্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হতে পারে। ফলে ৫০ হাজার শ্রমিকের বেশির ভাগই বড় একটি চাপে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী দূতাবাস বাংলাদেশী অভিবাসীদের সতর্ক করেছে।
বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত বলেন, “অদক্ষ শ্রমিকদের পাসপোর্ট পরিবর্তন করিয়ে নিতে প্রয়োজন হচ্ছে ১২৫ দিরহাম। পেশাদারদের ক্ষেত্রে তা ৪০৫ দিরহাম।”
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন ৬ লাখের বেশি বাংলাদেশী। এর মধ্যে এখনও যারা পাসপোর্ট পরিবর্তন করাননি তাদের বেশির ভাগই নির্মাণ খাতে কাজ করছেন।
৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ