প্রবাস ডেস্ক: জাপান পার্লামেন্টটের প্রবীন সংসদ সদস্য ইয়ামাদা সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখার সভাপিতি শেখ এমদাদের এক সৌজন্য সাক্ষাত হয়। জাপান পার্লামেন্ট ভবনে সাক্ষাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এমপি ইয়ামাদা। তার কিছু অংশ পাঠকদের উদেশ্যে দেয়া হলো।
এমপি ইয়ামাদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিচারক রাধাবিনোদ পার্ল, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ প্রত্যেকের সাথে জাপানের ভালো সম্পর্ক ছিল। জাপানিরা তাদের যথেস্ট স্থান করে।
নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, জাপানকে সাথে নিয়ে ভারত-বাংলার ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্দ করেছে, ব্রিটেন সহ অন্য ইউরোপীয় দেশ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নেতাজী জাপানের সাথে ছিল। জাপান ও বাংলার উভয়ই একে অপরের বন্ধুত্বের চমৎকার স্মৃতি আছে এবং আমাদের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কবি রবি ঠাকুর, বিচারপতি পাল, নেতাজি ও শেখ মুজিবকে সাথে নিয়ে আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত। আশা করি জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে যাবে আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জানতে পেরেছি তিনি জাপানকে ভাইয়ের মর্যাদা দিতেন, জাপানের প্রতি বঙ্গবন্ধুর হƒদয়ে কি পরিমান ভালবাসা ছিল তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাই, তিনি জাপানের পতাকার সাথে সখ্যতা রেখে বাংলাদেশের একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন।
ইয়ামাদা জানান, জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নীত করার জন্য, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং তার ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ভাষণ জাপানের জনগণের জন্য উমুক্ত যায়গাতে স্থাপন করব এবং জাপান ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত কর্মকান্ডের সাথে উভয় দেশের জনগণের অংশগ্রহণ উন্নীত করার জন্য ঢাকাতে একটি পার্ল সেন্টার স্থাপন করবো। আমি মনে করি, এটি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।
এমটি নিউজ/আ শি