দীন ইসলাম : হঠাৎ করেই বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে গেছেন তারা। তাদের একাউন্টে জমা পড়ছে বিপুল অর্থ। মালয়েশিয়া বা দুবাই থেকে তাদের একাউন্টে অর্থ ট্রান্সফারের খোঁজ মিলছে।
ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াও ডলার, ইউরো বা পাউন্ড পৌঁছে যাচ্ছে তাদের কাছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইতালিসহ কয়েকটি দেশের গুটিকয়েক প্রবাসী বাংলাদেশি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। এ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছে কানাঘুষা।
তারা বলাবলি করছেন, ‘বিদেশে অর্থ কামাই করা কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ কিন্তু কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে দেখা যায় রাতারাতি তারা অর্থ সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন।
ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে বসবাসকারী এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কয়েক দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক বিষয় দেখভালের দায়িত্বরত ফ্রান্স গোয়েন্দা সংস্থা। ব্যাংকে তার অস্বাভাবিক লেনদেন দেখে পুলিশের দপ্তরে তাকে ডেকে পাঠানো হয়।
নির্ধারিত সময়ে হাজির হলে তার কাছে ‘হঠাৎ সম্পদের’ তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এরপর একটি তালিকা তৈরি করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত এক বছরে দুইটি বড় আকারের জেনারেল স্টোর ও একটি ট্রাভেল এজেন্ট খুলেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা।
এদিকে এক বছর আগে রেস্টুরেন্ট দিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন ডাক সাইটে নেতা সুইজারল্যান্ড যান। দেশটিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সুহৃদ পরিচয়দানকারী প্রবাসী বাংলাদেশির খপ্পরে পড়েন ওই নেতা।
প্রথম দুই দফায় ওই নেতার কাছ থেকে রেস্টুরেন্ট দেয়ার অগ্রিম বাবদ তিন কোটি টাকা নিয়ে নেন ওই প্রবাসী বাংলাদেশি। তিন কোটি টাকা নিয়ে কেটে পড়েন ওই ব্যক্তি। কথিত আছে ওই ব্যক্তি টাকা নিয়ে পাকিস্তান পালিয়ে যান।
পাকিস্তানে গিয়ে নতুন সংসার পেতে বসেন। ফলে ওই ডাকসাইটে আওয়ামী লীগ নেতা সুইজারল্যান্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে কানাডার পথে পাড়ি জমান। জানা যায়, ওই নেতা এখন কানাডায় নিজের বাড়ি, গাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এমজমিন
এমটিনিউজ/এসএস