প্রবাস ডেস্ক : ‘আমার নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) যত দিন কারাগারে থাকবেন, তত দিন আমি ফ্লোরে পড়ে থাকব। আরাম-আয়েশ করব না।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই অভিনব কর্মসূচি পালন করছেন আমেরিকার কানসাস অঙ্গরাজ্যের উচিটা শহরে প্রবাসী মো. রেজাউল করিম।
পরিবারের সবাই তাঁকে বিছানায় শুতে বললেও তিনি তা শোনেননি। এরই মধ্যে কেটে গেছে ৪৫ দিন। নেত্রীর কারাবাসের সময়ে মাটিতে ঘুমানোর এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো প্রত্যয়ী বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বিন্দুঘোষ গ্রামের এই ব্যক্তি।
আলাপে রেজাউল বলেন, ‘যেদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে খালেদা জিয়ার কারাবাস শুরু হয়েছে সেদিন থেকে আমি আর বিছানায় থাকি না। তিনি কীভাবে কী অবস্থায় কেমন আছেন আমরা কেউ জানি না। সবাই বলছে উনি ভালো আছেন। অথচ কারাগার তো ভালো থাকার জায়গা না। তাই আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার নেত্রী যত দিন খারাপ থাকবেন আমিও ভালো বিছানায় না থেকে ফ্লোরে থাকব।’
রেজাউল ইদানীং খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও অমনোযোগী হয়ে উঠেছেন বলে জানালেন তাঁর পরিবারের এক সদস্য। কিন্তু তাঁকে বুঝিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার প্রতি তাঁর এই আবেগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে ডিভি লটারি জিতে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় আসি। সেই থেকে কানসাসের অগাস্টায় এক উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে মেশিন টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছি। দেশে থাকতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
এখানে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি থাই-অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতাম। নিজের শহর-গ্রাম-দেশ আমি ভুলতে পারি না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে বেশ কয়েকটি দেশীয় পত্রিকায় চোখ বুলাই। সময় পেলে ইউটিউবে টিভি চ্যানেলগুলোর টকশো দেখি। ভুল করেও ভুলতে পারি না দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস