প্রবাস ডেস্ক : পুলিশের হয়রানির শিকার মার্কিন কিশোর আহমেদ মোহাম্মেদের (১৪) প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বের অনেকেই। ওই কিশোরের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেখানে ওই ঘটনা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের পদক্ষেপের প্রতিই সমর্থন জানানো হয়।
টুইটারে এক বার্তায় তসলিমা নাসরিন মন্তব্য করেছেন, ‘আহমেদ মোহাম্মদের ঘরে বানানো ঘড়ি দেখলে আমিও বোমা বিস্ফোরক বলে ভুল করতাম। মানুষ কেন মনে করে মুসলমানরা বোমা নিয়ে আসতে পারে? কারণ তারা তাই করে।’
তসলিমা নাসরিনের এমন মন্তব্যে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনেকের মতে, মানুষ কী মনে করল তা বিষয় নয় কিন্তু দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা নিশ্চয়ই অনুমানের ভিত্তিতে চলতে পারে না।
গত সপ্তাহের সোমবার টেক্সাসে স্কুলে নিজের বানানো এক ডিজিটাল ঘড়ি নিয়ে ক্লাসে এসেছিলেন আহমেদ মোহাম্মেদ। শিক্ষকরা ঘড়িটি দেখে বোমা বলে সন্দেহ করেন এবং পুলিশে খবর দেন। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ স্কুলে এসে মোহাম্মেদকে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরে মোহাম্মেদকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন দাবি করে, মুসলমান হওয়ার কারণেই মোহাম্মেদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে।
পরে মোহাম্মেদকে সমর্থনের লম্বা তালিকায় যোগ দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক টুইটারবার্তায় ওবামা মোহাম্মেদের ঘড়িটিকে ‘দারুণ’ উল্লেখ করে বলেন, তার মতো আরো বেশি শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা উচিত। মোহাম্মেদকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান ওবামা
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ