বাঙালিদের স্লোগানে মুখরিত সিরিয়ার রাজপথ
প্রবাস ডেস্ক: ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশায় যুদ্ধপীড়িত সিরীয়দের যে ঢল রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেনে এমনটি আগে থেকে বলা। তবে গ্রিস–ম্যাসেডোনিয়ার বর্ডার ক্যাম্পে গত ১৮ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের শরণার্থীদের। শুধু আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকের শরণার্থীদের জন্য খোলা রয়েছে। সেদিন সারারাত নো ম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করেছেন শতশত শরণার্থী। মশাল জ্বালিয়ে, ক্যাম্প ফায়ার করে শীত নিবারণের চেষ্টার সাথে চলেছে– লিবার্টি লিবার্টি বলে স্লোগান। তবে কোন সুরাহা হয়নি, শত শত আটকে পড়া শরণার্থীদের সাথে বাংলাদেশিরাও স্লোগানে মুখরিত করেছেন দিন রাত। এদিন প্রতিবাদের যোগ হয়ে স্লোগানের সাথে শারীরিক প্রতিবাদ। কয়েকজন শরণার্থী মুখে সুঁই-সুতা দিয়ে সেলাই করে প্রদিবাদ করেন। তারা এর মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন মানবতার কোন ভাষা নেই! আসলেই কি নেই! মানবতার কি কোন ধর্ম নেই? মানবতার কি আসলেই কোন দেশ নেই? যদি তাই না হয় তাহলে মানবতা আজ কেন আটকে আছে নো ম্যান’স ল্যান্ডে!
গত ৫ সেপ্টেম্বরের যখন শরণার্থীদের ভাগ্যের শিকে খুলে দেয় জার্মান এরপর গত ৩ মাসে প্রায় ৭০০ হাজার শরণার্থী প্রবেশে করেছেন ইউরোপে। মূলত প্রকৃত শরণার্থীদের ভীড়ে আইএস ঢুকে প্যারিস হামলা ঘটিয়েছে এমন প্রমানের পরই ছোট করে আনা হচ্ছে শরণার্থীদের বহর। তাই ম্যাসেডোনিয়াতেই আটকে দেয়া হচ্ছে তাদের। আটকে পড়া হাজার হাজার শরণার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের দাবি তাদের ঢুকতে দেয়া হোক। কেউ কেউ সুইসাইড করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন। অনেকের মুখে সেলাই, বুকে রক্ত দিয়ে লেখা স্লোগান। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে সেসব ছবি ছাপা হচ্ছে। সেইসব ছবিতে জ্বল জ্বল করছে বাংলাদেশের এক তরুনের বুকে রক্ত দিয়ে ইংরেজীতে লেখা – আমাদের গুলি করো, তবুও আমরা বাংলাদেশে ফেরত যাবো না! বাংলাদেশতো সরকারের হিসাবে নিরাপদ, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো বাংলাদেশের ব্যাপারে পজেটিভ। তাহলে টগবগে যুবকের চোখে স্বপ্ন থাকবে, দেশ গড়ার কাজে হাত মেলাবে সেই যুবকের বুকে কেনো শোভা পায় এমন মরণবাদী স্লোগান!
২৫ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস