প্রবাস ডেস্ক : ধর্মের সঙ্গে বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। মূলত সেই কারণেই যাবতীয় প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়েছে তার জীবনে।
তসলিমাকে ছাড়তে হয়েছে নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশ। একই কারণে বিতর্কিত এই লেখিকার ঠাঁই মেলেনি গঙ্গাপাড়ের শহর কলকাতায়। তবে সম্প্রতি ইসলামের একটি বিষয় তার বিশেষ পছন্দের বলে জানিয়েছেন তসলিমা।
ইসলামের একমাত্র যে বিষয়টি ভালো লাগে তসলিমার : - আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের জন্য পবিত্র বলে স্বীকৃত রমজান মাস। সেই উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এই সময়ে অনেক দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উচ্চবিত্ত মানুষেরা। এটাই নিয়ম ইসলামের। দীর্ঘদিন ধরে এমনই চলে আসছে। রীতি অনুসারে, এই কাজে বিপুল পূণ্যার্জন হয়। এবং সর্বোপরি স্বর্গলাভ হয়।
এই বিষয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, ‘ধনি মানুষেরা গরিবদের খাবার, অর্থ এবং জামাকাপড় দান করে। ইসলাম ধর্মের যাবতীয় রেওয়াজের মধ্যে এই একটিমাত্র বিষয় আমার পছন্দের’ তবে একই সঙ্গে এই দান খয়রাতকে শুধু স্বর্গলাভের উদ্দেশ্য বলেছেন তিনি।
একই টুইটে- ‘সমাজের দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে কেউ চিন্তা করে না,’ বলে অভিযোগ করেছেন তসলিমা। তসলিমা নাসরিন আরও লিখেছেন, কিন্তু তারা (ধনী মুসলিমরা) এটা করে শুধু জান্নাতে যাওয়ার জন্য। দারিদ্র্য দূর করার জন্য তারা এটা করে না।
কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। সেই উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। এই সময়ে অনেক দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উচ্চবিত্ত মানুষেরা। এটাই নিয়ম ইসলামের। রমজান মাস উপলক্ষেই হয়ত এমন পোস্ট দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।
ময়মনসিংহে ১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট জন্ম নেয়া তসলিমা নাসরিন বিংশ শতকের আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। এই শতকের শেষের দিকে নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভের পাশাপাশি বিতর্কিত হন তিনি।
তিনি তার রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ ও মানবাধিকারের প্রচার করায় ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীদের রোষানলে পড়েন।
হত্যার হুমকি পাওয়ায় ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন। তিনি কিছুকাল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। বর্তমানে ভারত সরকার কর্তৃক অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পেয়ে সেখানে বসবাস করছেন তিনি।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস