প্রবাস ডেস্ক : নিজেকে ইসরায়েলের ‘বাংলাদেশী দূত’ দাবি করা কে এই বাংলাদেশী? ইসরায়েলি গণমাধ্যমের ভাষায়, ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী মুসলিম তরুণ চিকিৎসক সাদমান জামান তার ইহুদি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। একজন ইহুদিবাদী ও ইসরায়েলপন্থি হয়েও বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে তিনিই প্রথম প্রকাশ্যে ইসরায়েলে প্রবেশ করলেন।
শুধু মুসলিম বিশ্বই নয়; মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েলকে একটি দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে দেখে বিশ্বের অনেক দেশই। কেউ কেউ ইসরায়েল রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে না। ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে নিয়ে রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরবদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর যেকোনো দেশে যাওয়া যায়। এ কারণে সাদমান দেশে ফিরলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। নিজেকে ইসরায়েলের ‘দূত’ দাবি করেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে ইসরায়েল, ইহুদি জনগণ এবং যারা ইসরায়েল ও ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের একজন দূত মনে করি।’
তার ভাষায়, ‘আমি এমন এক দেশ থেকে এসেছি, যেখানকার মানুষ বিশ্বের ইহুদিবিদ্বেষীদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ইসরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ইসরায়েল সফর করতে চাওয়ায় আমার অনেক বন্ধু কারাগারে রয়েছে। কিন্তু আমার কোনো সংশয় নেই, কারণ আমি নিজেকে একজন ইহুদিবাদী মনে করি।’
বিশ্ব ইহুদিবাদী সংগঠনের একজন অতিথি হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন সাদমান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও গিয়েছেন তিনি। ইহুদিবাদী এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি একজন ইহুদিবাদী হিসেবেই বেড়ে উঠেছি। বাংলাদেশে আমাকে ইহুদিদের ঘৃণা করতে শেখানো হতো। কিন্তু আমার দাদা ছিলেন প্রথম ইহুদিবাদী। তিনি আমাকে ইহুদি ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন।’
২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ব্রিটেনে যান সাদমান। সেখান গিয়ে তিনি ইসরায়েলের ভিসা চান এবং পেয়ে যান। এরপর চলে যান ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলে। সেখানে গিয়ে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেন সাদমান।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস