মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮, ০১:২৩:১২

সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রবাস ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে পরিস্থিতি ভালো নয়। বিশেষ করে বেশকিছু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। যেগুলো সচল, সেগুলোর কর্মকাণ্ডও ধীরগতিতে চলছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বিপদের মধ্যে আছেন। আকামা নেই, কাজ নেই, বেতন নেই— এমন ৫০-১০০ জন শ্রমিক প্রতিদিনই বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিড় জমাচ্ছেন। এর পরও দেশে বেশকিছু রিক্রুটিং এজেন্সি মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। দেশটির অর্থনীতিতে চলছে রূপান্তরের পালা। সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ, নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ কর্মসূচির অধীনে শ্রমবাজারে শতভাগ স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সৌদি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি জ্বালানি খাতের ওপর অর্থনীতির নির্ভরতা কমানোরও উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। সৌদি অর্থনীতির এ পালাবদলের চোরাবালিতে আটকা পড়ছেন সে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। প্রতিদিনই কাজ হারাচ্ছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী। নিয়োগকর্তার দেয়া অনুমতিপত্র বা আকামা হারিয়ে এরা হয়ে পড়ছেন অবৈধ অভিবাসী। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে অনেকে ফিরছেন দেশে।

জানা গেছে, সৌদি আরবে কাজের ক্ষেত্রে বিদেশীদের সে দেশে বসবাসের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হয়। আরবিতে এ অনুমতিপত্রের নাম ‘ইকামা’। প্রবাসীদের মুখে শব্দটি আকামা বলে পরিচিত। সৌদি কোম্পানিগুলো তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশী শ্রমিকের নামে আকামা ইস্যু করার পরই সেটি দেখিয়ে দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হয়। প্রবাসে থাকাকালেও কর্মীদের আকামা নিয়ে চলতে হয়। কোনো কারণে আকামা হারিয়ে গেলে ওই দেশে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেকোনো সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই আকামা হারালে সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগকর্তাকে জানাতে হয়। পরবর্তীতে নিয়োগদাতা নতুন আকামার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া পেশা পরিবর্তন করতে চাইলেও নতুন করে আকামা বা অনুমতিপত্রের প্রয়োজন পড়ে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আকামা সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনই সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন। দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে ঢাকায় লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব সমস্যা দূতাবাসের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে যারা আকামা জটিলতায় পড়েছেন, কোম্পানি থেকে তাদের আকামা করে দেয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ কোম্পানি সেটি করছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে দূতাবাস। এরই মধ্যে দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের তত্ত্বাবধানে রিয়াদের অদূরে এবিভিরক কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কর্মহীন ৫০০ শ্রমিককে বিভিন্ন পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে