প্রবাস ডেস্ক: পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ২০০৬ সালে সৌদি আরব গিয়েছিলেন মাগুরার মরজান। জেদ্দায় গাড়ির ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। মৃত্যুর সাত বছর পর তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হলো ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
মাগুরা সদর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের আবদুল খালেক ও সুফিয়া খাতুন দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে মরজান ছিলেন দ্বিতীয়। তার স্ত্রী সন্তান না থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা বাবা-মাকেই দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে প্রবাসে কর্মরত কর্মীর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদফতর যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক এটিএম গোলাম মাহাবুব।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস যশোরের সহকারী পরিচালক রাহেনুর ইসলাম জানান, ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মাগুরা সদরের বাসিন্দা মরজান।
মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ হিসেবে মরজানের বাবাকে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ও মাকে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার পৃথক চেকে প্রদান করা হয়েছে। মরজানের পরিবারকে সর্বমোট ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও কর্মরত অবস্থায় প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা আরও ৭ জন ও অসুস্থ ২ কর্মীর পরিবারের সদস্যের মাঝে পৃথক চেকে ২৭ লাখ ৬৫১ টাকা এবং প্রবাসে কর্মরত কর্মীর ১ মেধাবী সন্তানের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ৯ হাজার ৯০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ৯২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫১ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
চেক বিতরণকালে রাহেনুর ইসলাম বলেন, বিদেশে যাওয়ার পূর্বে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস যশোর হতে বহির্গমন ছাড়পত্র যাচাই করতে হবে। এছাড়া তিনি যে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া হচ্ছে সেটা বৈধ এজেন্সি কি না এবং ভিসার বিপরীতে রিক্রুটিং এজেন্সি জনশক্তি ব্যুরো হতে অনুমোদন গ্রহণ করেছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।