প্রবাস ডেস্ক: জি-টু-জি পদ্ধতিতে নির্ধারিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। শ্রমিক নিয়োগে সংঘবদ্ধ চক্রের যুক্ততা আর বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলো।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। ২০১৬ সালে জি-টু-জির মাধ্যমে নতুন পদ্ধতিতে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির দায়িত্ব দেয়া হয়।
তবে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই নির্ধারিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে শ্রমিক নিয়োগে সংঘবদ্ধ চক্রের যুক্ততা আর বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মালয়েশিয়ায় যাওয়া ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩শ ৩০ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অন্তত ৪ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেটটি।
তদন্তের মাধ্যমে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নির্ধারিত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফেডারেল সরকার। গত ২১ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে দেশটি জানায়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে সিন্ডিকেটের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত হলো।
এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার নেতারা। তবে বাতিল হওয়া পদ্ধতিতে অপেক্ষমান আরো ৩০ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারবে বলেও জানান তারা।