প্রবাস ডেস্ক: জার্মানির জোট সরকারের নেতারা নতুন অভিবাসন আইনে একমত হয়েছেন। ফলে ইউরোপের বাইরের দেশের শিক্ষিত ও দক্ষ নাগরিকদের জন্য জার্মানিতে কাজ পাওয়া ও বসবাস সহজ হচ্ছে।
তবে এই আইনের কারণে দরিদ্র ও শিক্ষিত নন, এমন ব্যক্তিদের জার্মানিতে অভিবাসন পাওয়া কঠিন হবে। ‘আমরা অযোগ্য ‘থার্ড-কান্ট্রি ন্যাশনালদের (ইউরোপের বাইরের দেশের নাগরিক) অভিবাসন চাই না,’ চুক্তিতে লেখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে এই আইনে সম্মত হওয়ার বিষয়টি জানায় জার্মানির জোট সরকার। সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির শ্রমমন্ত্রী হুব্যার্টুস হাইল ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সঙ্গী সিএসইউ-র প্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার চুক্তিতে সই করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই কট্টরপন্থী সেহোফার জার্মানির অভিবাসন পদ্ধতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তার দাবি মানা না হলে গত জুনে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
জার্মানির নতুন আইনে কানাডার আইন অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, ভাষাগত দক্ষতা, ‘আর্থিক নিরাপত্তা', কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া ‘জব অফার’ ইত্যাদি বিবেচনা করে অভিবাসন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নতুন আইনে জার্মান অর্থনীতিতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের অবদান স্বীকার করা হয়েছে। ফলে আরো বেশি করে বিদেশি দক্ষ কর্মী আনার প্রক্রিয়া সহজ হচ্ছে। আইনের এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখন থেকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে জার্মান নাগরিকদের অগ্রাধিকার দিতে কোম্পানিগুলোর ওপর এতদিন যে সরকারি চাপ ছিল, এখন থেকে তা থাকবে না।
এছাড়া বিদেশি গ্র্যাজুয়েট ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীরা চাকরি খুঁজতে ছয় মাসের জন্য জার্মানিতে আসতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, আগ্রহী প্রার্থীদের চাকরি করার জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়া জার্মানিতে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থও প্রার্থীর থাকতে হবে।
সূত্র: ডিডাব্লিউ