প্রবাস ডেস্ক: সাংবাদিক সম্মেলন করে একাধিক সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে তসলিমা নাসরিনের মেয়ে বলে দাবি করেছিলেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ জর্জ বেকারকে নিজের বাবা বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরের সেই সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। রাজনৈতিক ব্যক্তি জর্জ বেকার বা তাঁর দলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে দলের অন্দরে জল ঘোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল বিজেপি সূত্রে।
শুক্রবার বিকেল থেকে ওই খবর নিয়ে সরব হয়েছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নিজের ফেসবুকের ওয়ালে একাধিক পোস্ট করেছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং তাঁর পাশে দাঁড়ানো সকলকে প্রতারক বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা ছিল, “অঙ্কিতা নামক মেয়েটি আমার মেয়ে নয়।”
শনিবার সকালের দিকে তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মেয়ে হওয়ার আগে আমার তো পেট-টা ফুলবে। আমি গর্ভবতী হলাম আর কেউ জানল না!” অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং তাঁর সহযোগীদের বড় কোনও অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলে দাবি করেছেন লজ্জার লেখিকা। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমার সম্পর্কে সবকিছুই আমি আমার আত্মজীবনীতে লিখেছি। কিছুই গোপন নেই। নতুন করে গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসার কোনও ব্যাপার নেই।”
তসলিমা নাসরিন এবং এক বয়স্ক মহিলার সঙ্গে এক বাচ্চা মেয়ের ছবি দেখিয়েছিলেন অঙ্কিতা। ছবির বাচ্চা মেয়েটি আসলে তিনিই বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও তসলিমা নাসরিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “ওটা আমার বন্ধু অরুণ চক্রবর্তীর মেয়ে। পাশের বয়স্ক মহিলা অরুণের মা রেখা চক্রবর্তী।” অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং তাঁর পাশের লোকেরা মিথ্যা বলছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘লজ্জা’র লেখিকা।
বন্ধু তলসিমার পাশে দাঁড়িয়েছেন সল্টলেকের বাসিন্দা অরুণ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “যে ছবিটি দেখিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটি আমার মেয়ের ছবি। পাশের মহিলা আমার মা রেখা দেবী।” ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি একটি সরস্বতী পুজোর দিন ওই ছবিটি তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অরুণবাবু।
যদিও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, “আমি যা বলার বলেছি। নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। আমায় মিথ্যেবাদী বলা হবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।” অঙ্কিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্বামী ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আইনের পথে যা করার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।