প্রবাস ডেস্ক : জীবিকার তাড়নায় এখন অনেকেই পাড়ি জমায় দেশের বাইরে। তবে সেখনে গিয়েও প্রবাসীদের এমন কিছু কাজ করতে হয় যা আসলে তাদের জন্য অনেক বিপদ জনক। আবার প্রায়ই নতুন নতুন নিয়মের মাঝে অনেকেই বিপাকে পরে যান। আবার অনেক সময় সুখবরও পান তারা।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি অারবে লাখ লাখ লোক পাড়ি জমিয়েছে। সৌদি আরবে অবস্থানরত সকল প্রাবাসীদের জন্য বিশাল এক সুখবর দিচ্ছে সৌদি সরকার। বিদেশি শ্রমিকদের ওপর ফি আরোপের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে সৌদি আরব। দেশটিতে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার প্রাথমিক লক্ষ্যে বেশ কিছু করপোরেশনে আশানুরূপ ফল না পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা শুরু করেছে রিয়াদ।
সোমবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদির এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ বলছে, শ্রমিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান খরচ দেশের অর্থনৈতিক মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এর ফলে অনেক বিদেশি শ্রমিক সৌদি আরব ছেড়ে চলে গেছেন।
একটি সূত্র বলছে, যদিও এই ফি একেবারেই বাতিল করা সম্ভব নয়, তারপরও মন্ত্রিসভার একটি কমিটি এই ফি পরিবর্তন অথবা পুনর্গঠনের চিন্তাভাবনা করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে সৌদির সিদ্ধান্ত আসবে বলে ওই সূত্র আশা প্রকাশ করেছে।
সরকারিভাবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না আসায় পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সূত্রগুলো। সৌদি আরবের তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ আলাওয়াদ শ্রমিকদের ওপর ফি আরোপের সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার ব্যাপারে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তা নাকচ করে দেন।
সৌদি আরবকে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ব্যাপক সামাজিক-অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে দেশটির অনেকেই যুবরাজের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন।
সৌদি যুবরাজের এই সংস্কার যজ্ঞের কারণে লাখ লাখ বিদেশি শ্রমিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন।যা ইতোমধ্যে সৌদির অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এমনকি সৌদি নাগরিকদের বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার যে লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল সেটিও ব্যর্থ হয়েছে।তবে দেখার বিষয় প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর ফি আরোপের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত কি করেন সৌদি সরকার । সূত্র : ব্লুমবার্গ।