প্রবাস ডেস্ক: বাংলাদেশের শরিয়তপুরের বিল্লাল খান ১৯৯৬ সালে শ্রমিক ভিসায় কাতার গিয়ে ছিলেন জীবিকার তাগিদে। তবে সাফল্যের মুখ দেখতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বহু বছর।
ঠিকমত বাসায় টাকা পাঠাতে না পারলেও বর্তমানে বিল্লাল হোসেন কাতারে ১২টি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, ৪টি রেস্টুরেন্ট, ৩টি সুপার মার্কেট, ২টি সেলুন, ২টি মাংসের দোকানের মালিক তিনি।
শুধু তাই নয় তার কোম্পানীতে বর্তমানে ভারত, নেপাল, মিসর, বাংলাদেশেরসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন।
শুধু নিজের ই নয়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার গ্ররাব জলি গ্রামের মানুষকেও কাতারে এনে স্বাবলম্বী করেছেন তিনি। ভাই, শালা, ভাতিজা, ভাগ্নেসহ বিল্লাল খান পরিবারেরই ২০০ সদস্য বর্তমানে কাতারে রয়েছেন।
নিজের সফলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রেমিটেন্স দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী শ্রমিকরা। সফলতা অর্জন করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়, আর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে নিরলস পরিশ্রম করতে হয়, কাতারে বাংলাদেশিদের ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে।’
সফল এই কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ বিল্লাল খান শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার গ্ররাব জলি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সপরিবারে কাতারেই আছেন।