প্রবাস ডেস্ক:জাপানে অভিবাসনপ্রত্যাশী এক বাংলাদেশিকে হাতকড়া ও কোমরে দড়ি পরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
আটক অভিবাসনপ্রত্যাশীর সঙ্গে দুর্ধর্ষ অপরাধীর মতো আচরণ করাকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। এরই মধ্যে ছবিটি সহস্রাধিকবার লাইক ও শেয়ার হয়েছে।
তবে টোকিওর আঞ্চলিক অভিবাসন ব্যুরোর দাবি, পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে হাতকড়া পরানো ও দড়ি বাঁধা হয়েছিল।
জাপান টাইমসে প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যায়, হাতকড়া পরানো অবস্থায় মারুফ আব্দুল্লাহ (৩৬) নামে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। তার কোমরে বাঁধা দড়িটি ধরে রেখেছেন কর্মকর্তাদের একজন। গত অক্টোবরে এ ঘটনা ঘটে। তখন এক প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের ভেতরে এ ছবিটি তোলেন। পরে আশাহি ওডা নামে এক ব্যক্তি ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেন।
জাপান টাইমস জানিয়েছে, মারুফ আব্দুল্লাহ পত্রিকায় তার ছবি ও নাম প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি চান তার মতো মানুষের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয় তা জনগণ জানুক।
তিনি বলেন, 'আমি অপরাধী নই।' হাতকড়া ও দড়ি পরানোকে অপমানজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পত্রিকাটি আরও জানায়, এরই মধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। ছবির নিচে দেওয়া কমেন্টে একজন লিখেছেন, 'তিনি চোর বা খুনি নন। এ ধরনের আচরণ আমার কাছে নিষ্ঠুর মনে হলো।'
এসওয়াইআই পিংকি ড্রাগন নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এভাবে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করে তাকে অপমান করেছে।
পুকি তু নামের একজন পাঠক প্রতিবেদনটির নিচের কমেন্টে লিখেছেন, 'দেখে মনে হচ্ছে, যেন একটা পাগলা কুকুরকে শেকল পরিয়ে রেখেছেন তারা। '
জাপানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় তাগিদ দিয়েছেন সে দেশের চিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনবিষয়ক অধ্যাপক ইয়াসুজো কিতামুরা।
তিনি বলেন, 'আদালতে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তির যেমন সুরক্ষা দেওয়া হয়, তেমন কিংবা তার চেয়েও বেশি সুরক্ষা দিতে হবে আটক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।'