প্রবাস ডেস্ক : প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস আসন্ন রাজ্য সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবরিন ফারুকি উর্শী। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট-উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষ।
আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় রাজ্য সংসদ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে আইন পরিষদের একটি আসনে লড়বেন উর্শী। নিউ সাউথ ওয়েলস এর উচ্চকক্ষে মোট আসন সংখ্যা ৪২টি এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদ আট বৎসর। প্রতি চার বৎসর অন্তর ২১টি আসনের সংসদ নির্বাচন হয়।
সাবরিন ফারুকি উর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মাস্টার্স (ল্যাংগুয়েজ ও টিচিং) এবং ২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশের ঢাকায় বেড়ে ওঠা উর্শীর। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
সিডনিতে ১৫ বছর যাবত বসবাস করছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সিডনিতে তিন বৎসর শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ফেডারেল সরকারের ব্যুরো পরিসংখ্যানে তিন বৎসর এবং ফেয়ার ওয়ার্ক কমিশনে পাঁচ বছর চাকরি করেন।
অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে সাথে প্রায় চার বছরের অধিক সময় যুক্ত থাকা সাবরিন ফারুকি উর্শী বলেন, আমি যে সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজগুলি করি, তা যদি রাজনীতির ক্ষেত্রও প্রয়োগ করি, তবে বড় মাপের প্লাটফরমের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সংসদে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নীতি নির্ধারক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
উর্শী আরো বলেন, ‘আমি চাই সমাজ কল্যাণ ও রাজনীতির যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজটাকে আরো গতিশীল করে তুলবো। নারীদের এখন বহুমুখী প্রতিভা রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে কল্যানমুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। উর্শী নিযুক্ত আছেন নব মাইগ্রেন্ট এবং রিফিউজি সেটেলমেন্ট এর সঙ্গে। স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন শক্তি (এনএসডব্লিউ) ও সিতারাস স্টোরি সংগঠনের সাথেও কাজ করে যাচ্ছেন। 'সিতারাস স্টোরি' সংস্থার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে তিনি বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহযোগিতা করেন।