নিউজ ডেস্ক : ফেসবুক লাইভে এসে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন ছিঁড়ে ফেলা এবং তা টয়লেটে নিক্ষেপ করা ও মহানবী (স.) কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যকারী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার বাবার ত্যাজ্যপুত্র। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর।
সেফুদা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের ছেলে।
জানা গেছে, সেফুদার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদারা ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। সেফুদার আপন ভাই-বোনের সংখ্যা ৮ জন। তবে কারো সাথে সেফুদার কোনো সম্পর্ক নেই। পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। সে ইংল্যান্ডে আছে। তার স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যায়। পরিবারের অবাধ্য এই সেফাতউল্লাহ একজন বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামের সেফুদার বড় ভাই শামছুল আলম মজুমদারের সাথে কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘কিশোর বয়সে সেফাতউল্লাকে আমার বাবা পাবনা পাগলা গারদে দিয়ে যান। সেখানে কয়েক মাস তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে সে মাঝেমধ্যে বাড়িতে ফোন করে। ফোন করেই আমাদের গালিগালাজ করে।’
সেফাতউল্লাহর চাচাতো ভাই রেদোয়ান হোসেন সেন্টু জানান, ‘ছোট বেলা থেকেই সেফুদা পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলতো। পরিবারের কাছে জেনেছি, তাকে একবার পাগলা গারদ ও জেলখানায় রাখা হয়েছিল। তার বাবা হাজী আলী আকবর কোনো সম্পত্তি তাকে দেয়নি। ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকি হাজী আলী আকবর মারা যাওয়ার সময় দেশে আসেনি এই সেফুদা। পরিবারের কারো সাথে তার যোগাযোগ নেই।’