প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নারীকে পাচারের পর দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে দেশটির অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা ‘গ্রাব’র এক চালকের বিচার শুরু হয়েছে।
তবে ওই চালক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে অস্বীকার করেছেন। অভিযোগের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে বুধবার দেশটির এক দায়রা জজ আদালতে দাবি করেন তিনি।
মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার বিচারক আজুরা আলওইর আদালতে অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী চালক সু লিয়ানকে হাজির করা হয়। তিনি অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে ভারতীয়সহ আরও আট নারী পাচারেও অভিযুক্ত; যাদের বয়স ১৯ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে।
গত ৪ জুলাই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান তুন ট্যান সিউ সিন এলাকায় ওই নারীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সু লিয়ান ও পলাতক অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধের দায়ে আদালতের বিচারক আজমান আহমদ পৃথক অভিযোগ গঠন করেছেন। একই সময়ে ২০ ও ৩৭ বছর বয়সী তিন বাংলাদেশি নারীকে ওই ভবনেই পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন তারা।
অভিযুক্ত সু লিয়ানকে ৫০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বিনিময়ে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। তবে প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাকে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট উভয় আদালতে পৃথক অভিযোগের শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।