প্রবাস ডেস্ক : ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর পুনর্জন্ম হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের। ‘এক দেশ এক সংবিধান’-এ এখন আরও ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষ, এমন মতামতের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তবে এখানেই শেষ নয়। তসলিমা এবার চান এই প্রক্রিয়াতেই সংবিধানে ‘ইসলামিক ল’ বা মহিলা-বিরোধী শরিয়া আইনও বিলুপ্ত করার ব্যবস্থা করা হোক।
বরাবরই তার মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করতে কখনও পিছপা হন না বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়া এই লেখিকা। তা সে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হোক কিংবা কাশ্মীর ইস্যু। নির্ভয়ে সোজা-সাপটা কথা বলতেই ভালবাসেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতে তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল তসলিমাকে। এবার মুসলিম মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে নতুন করে রুখে দাঁড়ালেন তিনি। লেখিকা চান, যে পদ্ধতিতে কেন্দ্র কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে, সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করেই এবার ইসলামিক আইন তুলে দেওয়া হোক।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “৩৭০ ধারার মতো অস্থায়ী আইন উঠে যাওয়ারই ছিল। শরিয়া আইন বা ইসলামিক আইনও তুলে দেওয়া উচিত। যে প্রক্রিয়ায় ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি সম্ভব হয়েছে তা মহিলা-বিরোধী শারিয়া আইন সরানোর জন্যও প্রয়োজন। প্রত্যেকের জন্য সমান আইন হওয়া জরুরি।”
কী এই শরিয়া আইন? মুসলিম পার্সোনাল ল অ্যাপ্লিকেশন আইন, ১৯৩৭-কেই বোঝাতে চেয়েছেন তসলিমা। বিয়ে থেকে শুরু করে একাধিক সামাজিক বিষয়ে এই আইনই মেনে চলে মুসলিম সম্প্রদায়। তবে যারা স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪-র নিয়মে বিয়ে করেছেন, তারা এই আইনের আওতায় পড়েন না।
তসলিমা চান, ধর্মের নামে একই দেশে যেন ভিন্ন আইন না থাকে। শরিয়া আইন তুলে দিয়ে গোটা ভারতের জন্য একটিই আইন বলবৎ হওয়া উচিত বলেই মত তার। যদিও লেখিকার এই মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন মুসলিম সমাজের একটা বড় অংশ। আবার অনেকে তসলিমার পাশে দাঁড়িয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার নিশ্চয়ই এমন আইন প্রণয়ন করবে।