প্রবাস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার পাশের দেশ মোজাম্বিকের মুকুবা শহরের পাশে মর্মা'ন্তিক সড়ক দুর্ঘ'টনায় আরাফাত (২০) ও আল-আমিন (২২) নামে দুই সহোদরের মর্মা'ন্তিক মৃ'ত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহ'ত দুই সহোদরের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নেরর চার নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারি বাড়ি। তাদের বাবার নাম সালেহ আহম্মেদ। দুই সহোদরের মৃ'ত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ঘটনায় দুই মোজাম্বিক নাগিরকসহ মোট চারজন ঘটনাস্থলেই নিহ'ত হয় এবং আরো তিন বাংলাদেশি গুরু'তর আহ'ত হয়।
শুক্রবার সকালে নিহ'ত দুই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম এক সাথে মর্মা'ন্তিক মৃ'ত্যুতে গ্রামের বাড়িসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহ'তের স্বজনরা জানান, হতদিরদ্র মোহাম্মদ হোসেন দিনমজুরের কাজ করেন। প্রায় তিন বছর আগে জমিজমা বিক্রয় ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করে বড় ছেলে হাছানকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠান। হাছান কিছু টাকা জোগাড় করে এবং বাকি টাকা গ্রামের ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেকার দুই ভাই আরাফাত ও আলামিনকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেয়ার জন্য দালালকে দেয়। দালালের মাধ্যমে গত ৩০ তারিখ এক ভাই প্রথমে দুবাই যায় এবং ১৩ তারিখ আরও এক ভাই দুবাই যায়।
সেখান থেকে দুই ভাইসহ আরো কয়েকজনকে সড়ক পথে প্রথমে কেনিয়া ও পরে মোজাম্বিক হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার যাওয়ার পথে মোজাম্বিকের মুকুর নামকস্থানে সড়ক দুর্ঘ'টনায় দুই সহোদরসহ আরো চারজন নিহ'ত এবং মেহেদী হাছান, হুমায়ুন কবির ও ইকবাল হোসেন নামে তিন জন আহ'ত হন। আহ'তের মধ্যে ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক।
নিহ'ত দুই জনের কাছ থেকে পাওয়া পাসপোর্ট দেখে স্থানীয় বাংলাদেশি পরিচিয় নিশ্চিত হন এবং গ্রামের বাড়িতে খবর দেন। রাত একটার সময় তাদের মোজাম্বিকের মকুবা এলাকায় দাফন করা হয়।