আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: বুধবার সকাল ১০ টায় মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা কালে এ উদ্ধেগ প্রকাশ করেন তিনি। আইজিপি বলেন, মালয়েশিয়ায় থেকে কিছু অপরাধমূলক কাজ করা হচ্ছে যেমন, অ'পহর'ণ, চাঁ'দাবাজি, প্র'তার'ণা এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ'পপ্র'চার যা উভয় দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষ'তিকর। সোশ্যাল ও সংবাদ মিডিয়ায় মালয়েশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তথ্য পরিবেশন করায় উ'দ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ'পহর'ণ, চাঁদাবাজি এবং প্রো'পাগা'ন্ডাসহ যেকোনো প্রকার আইন বহির্ভূত কাজে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অপরাধ দমনে হাইকমিশন যে কোনো সহযোগিতা করবে।
আলোচনা হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য তিনি অপরাধ দমনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশ প্রধান মালয়েশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, তারা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং সৎ। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে সফল হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উভয় দেশের মধ্যে গ্রেফতার, ইমিগ্রেশন, ডিটেনশন, কর্মী, আন্তর্জাতিক স'ন্ত্রা'স এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
হাইকমিশনার উভয় দেশের পুলিশের মধ্যে প্রশিক্ষণ সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি বিনিময় করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিষয়টি পুলিশ প্রধান সাদরে গ্রহণ করে বলেন, মানব পাচার, কাউন্টার টে'ররি'জম, অপরাধ দমন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। শিগশিরই মালয়েশিয়া পুলিশের একটি টিম বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানান দিলেন পুলিশ প্রধান।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কিছু কর্মী বাজে এজেন্টের/ব্যক্তির/ গ্রুপের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হয় তারা প্রতারণার জন্য মামলা করে এবং মামলার প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারের কিছু দিন পর কোম্পানি ও কাগজপত্র থাকা সাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হয় এরুপ ক্ষেত্রে তল্লাশির সময় তাদের গ্রেফতার না করার জন্য অনুরোধ করেন। ডিটেনশন সেন্টারে যারা রিমান্ড এবং অনেকে মামলার সাক্ষী হিসেবে মাসের পর মাস অপেক্ষা করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া বা দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। বিশেষ করে কাউকে মামলার সাক্ষী হিসেবে ডিটেনশন সেন্টারে না রেখে বাইরে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হলে আইজিপি বলেন, তিনি এ বিষয় বিবেচনা করবেন এবং ইমিগ্রেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
হাইকমিশনার বলেন মালয়েশিয়া আগমনের পর বিমানবন্দরে অনেক সময় বাংলাদেশের টুরিস্টদেরকে মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয় তখন বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইজিপি ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল এবং প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন, মালয়েশিয়ান পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক দাতো হুজির বিন মোহামেদ, পুলিশ সেক্রেটারি দাতো রামলি মোহামেদ ইউসুফ এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের প্রধান দাতুক গোহ বন কেংসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অন্যান্য কর্মকর্তারা।-যুগান্তর