গত সপ্তাহে যখন বাংলাদেশী আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ সুমন হাজের যমজ সন্তানের জন্ম হয়েছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান পিতা। অদ্ভুতভাবে তার এই ভাবনা রূপকভাবে এবং আক্ষরিক অর্থেই বাস্তবে রুপ নিলো।
সদ্যজাত জমজ কন্যা সন্তানদের জন্য আরব আমিরাতের আবুধাবির একটি সুপার মার্কেট থেকে আনুসাঙ্গিক কিছু জিনিস কেনাকাটা করেন তিনি এবং এই কেনাকাটার দরুণ পেয়ে যান “বি এ মান্থলি মিলিয়নিয়ার” প্রচারণার র্যাফেল কার্ড। আর এই র্যাফেল কার্ড -ই বদলে দিলো চট্টগ্রামের এই প্রবাসীর জীবন।
সোমবার অনুষ্ঠিত এই র্যাফেল কার্ডের ড্রতে তিনি জিতে নিয়েছেন ১ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা)। পুরস্কার পেয়ে তিনি বলেন ‘আমি সত্যিই অনুভব করেছি যে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান পিতা। র্যাফেল ড্র জয়ের সংবাদ যখন পেয়েছিলাম তখন আমার জন্য ব্যাপারটা আজীবন অবাক হওয়ার বিষয় ছিল, আমি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছি এবং এক সপ্তাহ আগে আমাদের বাচ্চা হয়েছিল এবং এখন আমরা ১ মিলিয়ন দিরহামের ধনী মোহাম্মদ সুমন ২০০৯ সালে আবু ধাবিতে প্রথম আসেন এবং বর্তমানে পারিবারিক ড্রাইভার হিসেবে আবু ধাবিতে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেছিলেন।
এই পুরস্কার নিয়ে তিনি কী করবেন জানতে চাইলে মোহাম্মদ সুমন আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন যে, ‘তিনি তার বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসাবে স্বর্ণ কেনার পরিকল্পনা করছেন। তিনি আরও বলেন যে, তিনি এই পুরষ্কারটি কেবল তার স্ত্রীর সাথেই নয় বরং তার বাবা-মা, তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের সাথেও ভাগ করবেন।’
তিনি আরো বলেন, আমি আমার ভাগ্য এবং ভাগ্য দ্বারা প্রাপ্ত সাফল্যে অভিভূত- প্রথমে গত সপ্তাহে যমজ সন্তানের জনক হয়েছি,আর আমার ভাগ্যের দরুন এই আশ্চর্যজনক পুরষ্কার জিতেছি। এটি এখনও আমার পক্ষে অবিশ্বাস্য! আমি খুব খুশি।