প্রবাস ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় মো. মোকারম মিয়া (২২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি গলায় গামছা পে'চিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝু'লে আ'ত্মহ'ত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সাড়ে বিকেল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে মালয়েশিয়ান পুলিশ গিয়ে ঝুল'ন্ত ম'রদে'হটি উদ্ধা'র করে।
নিহ'ত মোকারম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্বহরিপুর গ্রামের রবিউল্লাহ্ মুন্সির বাড়ির মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি কম্পানিতে পরিচ্ছ'ন্নতা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোকারম বেলাব উপজেলার এক দালালের মাধ্যমে আড়াই বছর পূর্বে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। সেখানে তিনি একটি কম্পানিতে অল্প বেতনে চাকরি করতেন। ছয় মাস পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের মতিউরনগর গ্রামে তাকে বিয়ে করান স্বজনরা। সাম্প্রতিক তিনি অসু'স্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার করাতে একই ইউনিয়নের মুছাপুর গ্রামের প্রবাসী হাবিবুল্লাহ কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধা'র নেন। নির্ধারিত সময়ে তিনি দে'নার টাকা পরিশো'ধে ব্য'র্থ হওয়ায়। তার ওপর মানসি'ক চা'প প্রয়ো'গ করতে থাকেন হাবিবুল্লাহ। এক পর্যায়ে তিনি মোকারমের বেতনের টাকা উত্তো'লনের কার্ডটিও ছি'নিয়ে নেন। এ ঘটনার পনেরো দিন পর গত শনিবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মোকারমের ঝুল'ন্ত দেখতে পান তার সহকর্মীরা। পরে মালয়েশিয়ান পুলিশ ম'রদে'হটি উদ্ধা'র করে ম'র্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে সিদ্দিক মিয়া জানান, শুক্রবার দুপুরে মোবাইলে ছেলে সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন মোকারম তার বাবাকে অনুরোধ করেন দ্রু'ত হাবিবুল্লাহকে ৬০ হাজার টাকা জোগা'ড় করে দিতে।