প্রবাস ডেস্ক : ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে এবার দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মুখে শোনা গেল লেখিকা তসলিমা নাসরিনের নাম। নতুন এই আইন ধর্মীয় বিভা'জনমূলক নয়, এটা বোঝাতে পাকিস্তানি সংগীত শিল্পী আদনান সামি ও বাংলাদেশের নির্বাসিক লেখিকা তসলিমা নাসরিনের উদাহরণ টানলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
তার বক্তব্য, আদনান সামি, তসলিমাদের উদাহরণ দেখলেই বোঝা যাবে সংশো'ধিত নাগরিকত্ব আইন ধর্মের ভিত্তিতে বিভা'জন সৃষ্টিকারী নয়। সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী বলছেন, '৩৯১ জন আফগান মুসলিম এবং ১৫৯৫ জন পাকিস্তানি শরণার্থী মুসলিম ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই সময়ই ২০১৬ সালে আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। আরও একটি উদাহরণ তসলিমা নাসরিন। শুধু এক বছরেই ২৮৩৮ জন পাকিস্তানি উদ্বাস্তু, ৯৪৮ জন আফগান এবং ১৭২ জন বাংলাদেশি উদ্বাস্তু ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ১৯৬৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের মানুষ এদেশের নাগরিক হয়েছেন। এতেই বোঝা যায় আমাদের বি'রু'দ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভুল।'
নির্মলার মুখে তসলিমার নাম শোনা যাওয়ায়, অনেকেই মনে করছেন এবার লেখিকাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবনা-চিন্তা করছে সরকার। ২০০৪ সাল থেকে দিল্লিতে রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে বসবাস করছেন এই লেখিকা। বাংলাদেশে মৌল'বাদের প্রতিবাদ করায় সেদেশে মৌলবাদীদের আ'ক্রমণের শি'কার হতে হয় তাকে। তারপর থেকেই ভারতের আশ্রয়ে আছেন লেখিকা। উল্লেখ্য, প্রায় একই পরিস্থিতিতে পাক গায়ক আদনান সামিকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই সং'শো'ধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তসলিমার নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।