প্রবাস ডেস্ক: সবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে কানাডার বৃহত্তম নগরী টরন্টোতে। শীত মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ে কানাডা বরফে ঢাকা থাকে। যে কারণে সবজি ও ফলমূলের উৎপাদন এ সময়ে খুবই কম। তাই জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সবজির দাম থাকে অত্যন্ত চড়া। টরন্টোর সুপার শপগুলোতে লাউয়ের পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে আড়াই ডলারে। মানে কেজি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০০ টাকা।
বাংলাদেশ থেকেও নানা ধরনের সবজি কার্গো বিমানে করে কানাডায় রপ্তানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে আসা সবজির দাম আরও বেশি। প্রায় সব ধরনের বাংলাদেশি সবজি পাওয়া যায় এখানে। বাংলা দোকানগুলোতে বাংলাদেশি করল্লা বিক্রি হয়ে থাকে এক পাউন্ড প্রায় চার ডলারে। সিম, ঢেড়স, অন্যান্য সবজির দামও অনুরুপ।
ঢাকা থেকে টরন্টোতে বিমান আসতে লাগে দুই দিন। তাই পণ্য পরিবহন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যার প্রভাব পড়ে দ্রব্যমূল্যে। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে আসা সবজি বিক্রি হয় আকাশছোঁয়া দামে।
কানাডায় কৃষি মৌসুম মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শীতের সময় গ্রিন হাউজে শাক সবজির চাষ হয় বটে, কিন্ত চাহিদার তুলনায় কম। আর গ্রিন হাউজ ব্যয়বহুল বলে তার প্রভাব পড়ে সবজির দামে। যে কারণে শীতকালে কানাডায় সবজির মূল্য থাকে আকাশ ছোঁয়া।