প্রবাস ডেস্ক : সোশ্যাল সাইটে তসলিমা নাসরিন আর ভারতের সুরের জাদুকর এআর রহমানের কন্যা খাতিজার কথার লড়াই জমে উঠেছে। খাতিজা বোরকা পড়ায় তসলিমা লিখেছিলেন, আমি এ আর রহমানের মিউজিক খুব ভালোবাসি। কিন্তু যখনই তার কন্যাকে বোরকা পরে দেখি, তখনই দ'মব'ন্ধ লাগে।
প্রখ্যাত নারীবাদী লেখিকার এই মন্তব্যের ক'ড়া জবাব দেন খাতিজা। তিনি তসলিমাকে 'নারীবাদ' শিখতে বলেন। এরপর বসে নেই তসলিমা। তিনিও তী'ব্র ভাষায় ফের আ'ক্র'মণ করেছেন তসলিমাকে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তসলিমা লিখেছেন, 'বোরখাওয়ালীরা প্রায়ই এম্পাওয়ার শব্দটা ব্যবহার করে। তারা বলতে চায় তারা শ'ক্তিময়ী, ক্ষ'মতাময়ী, স্বাধীন, এবং স্ব'নির্ভর। নিজের চেহারাটাই লুকিয়ে রাখতে হয় আর স্বাধীনতার বড়াই। কেন তারা শ'রী'র আড়াল করে? কারণ তারা মনে করে পুরুষেরা সব কা'মুক, ব'র্বর, যৌ'ন নি'র্যা'তক, ধ'র্ষ'ক; তাদের চুল আর ত্বক দেখা মাত্র পুরুষেরা তাদের ওপর ঝাঁ'পিয়ে পড়বে, এর ফলে তারা এঁটো হয়ে যাবে। এঁটো হয়ে গেলে মুশকিল, কারণ স্বামী ফ্রে'শ খাবে, এঁটো খাবে না।'
তিনি আরও লিখেন, 'বোরখাওয়ালীরা নিজেদের খাদ্যবস্তু বলে বিশ্বাস করে। বোরখাওয়ালিরা বিশ্বাস করে, আল্লাহ নামের এক নিরা'কার নুর আসমানে বসে আছেন, যিনি ৬ দিনে বিশ্বব্র'হ্মা'ণ্ড বানিয়েছেন, যিনি মানুষকে খুব 'ভালোবাসেন', কিন্তু মানুষ যদি তাকে না ভালোবাসে, তার আদেশ না মানে, তাহলে তিনি তাদের দো'যখের আ'গুনে পো'ড়াবেন। মেয়েরা যদি পর্দা না করে, তাদেরও দো'যখের আ'গুনে পোড়াবেন। রূপকথার এই গল্পগুলোকে সত্যি মনে করে বাকিজীবন এই এম্পাওয়ারওয়ালীরা নিজেদের অ'ন্ধ'কারেই ফেলে রাখতে দ্বি'ধা করছে না।'
এর আগে তসলিমার মন্তব্যের জবাবে খাতিজা ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, 'এক বছরও কাটল না, আবারও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু! দেশে তো আরও অনেক কিছু হচ্ছে। একজন নারী কী পরতে চান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বার এই ইস্যুটি সামনে এলেই অনেক কিছু বলার থাকে। আমি যা করছি, তার জন্য আমি খুশি ও গর্বিত। আর আমাকে আমার মতো করে যারা গ্রহণ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। প্রিয় তসলিমা নাসরিন, আমার পোশাকের জন্য আপনি শ্বা'সরু'দ্ধ বোধ করছেন, এতে আমি দুঃখিত। অনুগ্রহ করে তাজা বাতাস নিন, কারণ আমি আদৌও দ'মব'ন্ধ অনুভব করছি না। বরং আমি যা করছি, তার জন্য গর্বিত। নারীবাদের প্রকৃত অর্থ কী, তা গুগুলে একবার দেখে নিন।'