'পবিত্র কোরআনকে আঁকড়ে ধরতে হবে'
রনি মোহাম্মদ, (লিসবন,পর্তুগাল) প্রতিনিধি: পবিত্র সিরাতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষ্যে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলা জোনে অবস্থিত মার্তিম মনিজ জামে মসজিদ পক্ষ থেকে আজ বাদ এশা এক ওয়য়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রান মুসল্লির উপস্থিতিতে মাহফিলের বাড়তি আকর্ষন ছিল 'সিরাতুন্নবী(সঃ) উপলক্ষ্যে' বই পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলেমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইমাম মাওলানা হেলাল উদ্দীনের উপস্থাপনায় রাসুলের পবিত্র জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন oxfored ইউনিভার্সিটি মসজিদ ইউকে ও সিলেট পুলিশ লাইন জামে মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা জাকির হুসেন। তিনি তার আলোচনায় বলেন, বিশ্ব মানবতা যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন কাটাচ্ছিল আর পাপাচার তাদের ঘিরে রেখেছিল তখন তাদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্যে আর মানবতার মুক্তির জন্যে আল্লাহ পাক আরবের মাটিতে প্রেরন করেন আমাদের প্রিয় রাসুল মুহাম্মাদ (সঃ)কে। ১৪শত বছর আগে দেখানো তার পথ আজ পর্যন্ত নিঃসন্দেহে মুক্তি আর নাজাতের পথ বলে আমরা বিশ্বাস করি।মানব জাতীর মুক্তি আর সঠিক পথে চালিত হতে হলে দুনিয়ার কোন মতবাদের বিপরীতে একমাত্র তার জীবনাদর্শের অনুসরন করা দরকার। সমাপনি বক্তব্যে মসজিদের প্রধান ইমাম ও খতিব মাওলানা ইব্রাহিম মোল্লা উপস্তিত মুসল্লিদের রাসুলে করিম (সঃ)র জীবনের পরিপুর্ন অনুসরনের গুরুত্বারুপ করেন।তিনি বলেন শত শত বছর আগে প্রকাশ্যে খালি হাতে ইসলামের যে বিজয় এনেছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ) আজ কি আমরা তার এক ভাগও পারছি? অথচ বিদায় হজের ভাষণে তিনি তো আমাদের উপরই দায়িত্ব দিয়েছেন তার অসমাপ্ত কাজগুলো যেন তার উম্মতরা এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা কি তা পারছি? রাসূল (সাঃ), তার সাহাবী থেকে শুরু করে ইসলামের স্বর্ণ যুগে একজন মানুষকেও অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়নি। অথচ আজ? আজ কি হচ্ছে তার কি বর্ণনা দেওয়ারও প্রয়োজন আছে? রাসূল (সাঃ) কে জীবনে কোনো ব্যক্তি প্রথমে সালাম দিতে পারেননি। তিনিই হাত উঁচু করে সালাম দিতেন। আর এখন কেন যেন সবকিছু পাল্টে গেছে। সালাম নেয়ার জন্য সবাই অপেক্ষায় থাকে। নবী (সাঃ) এর আদেশ হুকুম আর নির্দেশগুলো পালন না করাই যেন অনেকের রেওয়াজ হয়ে গেছে। ইসলাম ধর্মের দেশগুলোতেই আজ যেন সব অনাচার। একজন শাসকের মধ্যেও সেই শত শত বছর আগের মুসলিম শাসকদের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। সমালোচনা করার আগে নিজেদেরও তো পরিবর্তন হওয়া চাই। সেই পরিবর্তন হতে হলে সত্যিকার অর্থেই পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। পবিত্র কোরআনকে আঁকড়ে ধরতে হবে, আর সঙ্গে রাখতে হবে রাসুল (সাঃ) এর জীবনী ও আদর্শ। তিনি বাংলাদেশে মিলাদুন্নবীর নামে প্রচলিত নানা বেদায়াতের ব্যাপারে মুসল্লিদের সতর্ক করেন আর আল্লাহ যাতে এ সমস্ত থেকে সবাইকে হেফাজত রাখেন সেই কামনা করেন।পরে বই পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি অফ পর্তুগালের প্রধান উপদেষ্টা জনাব অলিউর রহমান, সোয়েব মিয়া, ইসলামীক ফোরাম পর্তুগালের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি জুবায়ের মিয়া, মসজিদ কমিঠির সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ, তাহের আহমদ, ট্রেজারার শামসুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মাহবুব সুয়েদ ,ওমর শরীফ,মোসারফ হোসেন,ফারুক হোসেন প্রমুখ।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�