প্রবাস ডেস্ক : চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে বিশ্বের আট হাজার মানুষ মা'রা গেছে। হু হু করে বাড়ছে আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা। চীন থেকে ছড়ালেও শ'ক্ত অবস্থান এবং সেখানে অবস্থানরত নাগরিকদরে সচে'তনতার কারণে ইতোমধ্যেই স্বাভাবিক হতে চলেছে চীনের পরি'স্থিতি।
গত কয়েকদিনে মৃ'তের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি কমেছে আক্রা'ন্ত হওয়ার সংখ্যাও। চীনের এই সুস্থ হয়ে ওঠা কোন প্রতিষে'ধকে নয়— বরং আটটি পরামর্শ মেনে চলায় তারা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের লিয়াওংনিং প্রদেশের ডালিয়ান শহরে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাশিম রাব্বি। রাব্বির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করোনার কোন প্রতিষে'ধক নেই। একমাত্র সত'র্কতা অবল'ম্বন করলেই এই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
চীনা সরকার করোনা মো'কাবেলায় আপনাদের কী কী করণীয় মেনে চলতে বলেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে হাশিম বলেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনাকে সত'র্ক থাকতে হবে। চীনা সরকার করোনা মো'কাবেলায় সর্বোচ্চ সত'র্কতা অবল'ম্বন করেছে। তাই তারা আজ সফল। আমাদেরকে আটটি পরা'মর্শ দেয়া হয়েছিল। এগুলো আমাদের মেনে চলা আবশ্যকীয় ছিল। সেগুলো হল—
১. জ্বর. কাঁশি, সর্দি হলে তাৎ'ক্ষণিক আপনাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ডাক্তারের সাথে পরা'মর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ২. খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে মানা করেছে। সপ্তাহে ১ দিন বাজার করতে বলেছে। ৩. এলাকা ভিত্তিতে লকডাউন করা হয়। যাতে করে করোনায় আ'ক্রা'ন্ত মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য কোথাও ঢুকতে না পারে।
৪. বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা বাধ্য'তামূলক করা হয়েছে। ৫. বাইরে থেকে এসে হ্যান্ড স্যানিটা'ইজার দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছিল। ৬. অযথা চোখে মুখে হাত দেয়া থেকে বির'ত থাকতে বলা হয়েছিল। ৭. মানসিক ভাবে শ'ক্ত থাকতে বলা হয়েছিল। ৮. নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করতে বলা হয়েছে।