প্রবাস ডেস্ক: করোনার সং'ক্র'মণ মো'কাবি'লায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষে'প নিয়েছে। বেসরকারিভাবেও অনেকে নিজ উ'দ্যোগে এগিয়ে আসছেন। যেমন করোনা পরীক্ষার কিট চীন থেকে কিনে দেশে পাঠালেন জয়পুরহাটের এক তরুণ।
জানা গেছে, বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে করোনাভাইরাস টে'স্টের ১০০টি কি'ট কিনে বাংলাদেশে পাঠালেন তরুণ মিজানুর রহমান সরকার নামের ঐ শিক্ষার্থী। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) তার কেনা কিটগুলো দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিনি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফর সরকারের ছেলে মিজানুর।
২০ মার্চ মিজানুর রহমান তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘জয়পুরহাটে যারা দায়ি'ত্বশীল আছেন, তাদের দৃ'ষ্টি আক'র্ষণ করছি। আমি মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম, জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো কি'ট নেই। তাই আমি চায়না থেকে করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য কিছু কি'ট ডো'নেট করতে চাই। এ বিষয়ে কর'ণীয় প্রক্রি'য়া জানার জন্য জয়পুরহাটে যাঁরা স্বা'স্থ্য বিভাগে জ'ড়িত আছেন, তাঁদের সাহায্য কামনা করছি।’
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে মিজানুরের মুঠোফোন নম্বর দিতে বলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। পরে নম্বর নিয়ে ওই তরুণের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন হুইপ।
বুধবার বিকেলে ফেসবুকে ওই তরুণকে অভি'বাদন জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘একটি ছেলে চায়না থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে যে সে জয়পুরহাটে কিছু করোনা টে'স্টিং কি'ট পাঠাতে চায়। জয়পুরহাটের দায়িত্বশীল কেউ যেন যোগাযোগ করে। বিষয়টি আমার চোখে পড়ায় তার ফোন নম্বর দিতে বলি। সে নম্বর দিলে আমি ফোন করি। সে চায়নার নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বর্তমান পরিস্থি'তিতে সেখানে প্রায় গৃ'হব'ন্দি। বাইরে বে'রোতে পারে না। কিন্তু দেশের জন্য, এলাকার জন্য তার হৃ'দয়ের আ'কুতি অনু'ভব দেখে আমি অভিভূ'ত।’
কিটগুলো চীন থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, মিজানুর রহমানের পাঠানো কিটগুলো বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই তরুণ ছাড়াও গোলাম রব্বানী নামে অপর একজন ৫০০ কিট পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। সেগুলো দেশে আ'নার কাজ চলছে।