নিউজ ডেস্ক : তাবলিগ জামাত একটা গন্ডমূর্খদের আন্দোলন।১৯২৬ সালে ভারতের হরিয়ানায় এর জন্ম। ভারতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা দেওবন্দের জন্ম। ভারতে আহমদিয়া ধর্মের জন্ম। ইসলামের প্রসারে ভারতের ভূমিকা বিরাট।
তাবলিগ জামাত এখন পৃথিবীতে এত ছড়িয়ে গেছে যে ১৫০ টা দেশ থেকে প্রায় কয়েক কোটি লোক এতে অংশ নেয়। ফেব্রুয়ারীর ২৭ তারিখে ৪ দিন ব্যাপী তাবলিগ জামাতের সম্মেলন হলো মালোয়শিয়ায়। ১৬০০০ লোক অংশগ্রহণ করেছিল। ১৫০০ ছিল বিদেশি। চীন থেকে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা। মালয়শিয়ার দুই তৃতীয়াংশ করোনা রোগীর ভাইরাস এসেছে ওই তাবলিগ জামাত থেকে। এই খবর গুলো চারদিকে প্রচার হওয়ার পরও তাবলিগ জামাত দিল্লিতে সম্মেলন করার অনুমতি পেয়ে যায় কী করে জানিনা।
এখন দিল্লিতে নানান দেশের তাবলিগি গুলো ভাইরাস ছড়িয়েছে। কত হাজার লোককে যে ওরা সংক্রামিত করেছে। গন্ডমূর্খগুলো কি জানে না করোনার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ গণহারে মা'রা পড়ছে, তাদের যে জমায়ের বন্ধ করা পবিত্র কর্তব্য?
সৌদি আরবকে স্যালুট দিই। আল্লাহর ঘর কাবা বন্ধ করে দিতে এতটুকু দ্বিধা করেনি। উমরাহ বন্ধ করেছে। নবীর রওজা শরিফ দর্শন, মসজিদ সব বন্ধ করেছে। ভারতে এখনও মসজিদ খোলা। লোকেরা টুপি পরে নামাজ পড়তে যায়। সরকারের লক ডাউনের ঘোষণা ধর্মান্ধরা তো মানছে না। ভারতের একটুখানি সৌদি আরবের মতো হওয়া ফরকার।
-তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে।