প্রবাস ডেস্ক : আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩য় ধাপে শুরু হওয়া মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) বা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ আদেশের মধ্যে দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ান সরকার।
গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক বিশেষ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, এই শিল্পগুলি পুনরায় চালু হওয়ার সাথে সাথে সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে কাজ করতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা প্রদান করা হবে এবং তা মেনে চলতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি বুঝতে পারি যে লকডাউন এমসিওর পুরোটা সময়ে দেশের শিল্প, উৎপাদন ও বাণিজ্য কার্যক্রমের উপর নিষে'ধাজ্ঞার কারণে অর্থনীতি ব্যাহত হয়েছে। সুতরাং আমরা ক'ঠোর স্বাস্থ্য বিধি ও নির্দেশিকা এবং চলাচল নিষে'ধাজ্ঞার পাশাপাশি অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রগুলিকে পর্যায়ক্রমে পুনরায় খুলে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।"
তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, সিনিয়র মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটিতে সার্বিকভাবে পর্যালোচনার মাধ্যমে কোন কোন সেক্টরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ কোন কোন শিল্প কারখানা ও ফ্যাক্টরি চালু করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
এমসিও কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় এক মাসের জন্য বিধি-নিষেধে শিল্পগুলি অচল হয়ে পড়েছিল। এমসিও কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় টানা এক মাসের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার ফলে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর ও শিল্পগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল যা সম্ভবত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।
সরবরাহকারী এবং উৎপাদনকারীরা বারবার সরকারের কাছে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা এমসিও (লকডাউন) আদেশের কিছু দিক শিথিল করার জন্য অনুরোধ করেছে যাতে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ের সরবরাহের ক্ষেত্রগুলো আবার শুরু হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছেন যে, কোভিড-১৯ মহামা'রী এবং এমসিওর মাধ্যমে বিধি-নি'ষেধের ফলে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে জিডিপির প্রায় পঞ্চম অংশ ব্যয় হবে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ একটি মারাত্ম'ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রচুর চাকরির ক্ষতি হয়েছে যা বেশিরভাগই দেশের নিম্ন-আয়ের শ্রমিকদের উপর প্র'ভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতি সরকারকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত দিয়ে এমসিও উঠানোর ক্ষেত্রে বিরোধীদের উৎসাহিত ও অনুরোধ জানাতে সহায়তা করবে।
এদিকে লিম কিট সিয়াংয়ের মতো নেতারা বলেছেন, যেসব এলাকায় করোনায় কম পরিমাণে সং'ক্রমণ হয়েছে সেসব এলাকাগুলোর জন্য বি'ধিনিষেধ শি'থিল করা উচিত। যাতে করে কিছু ব্যবসা চালুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ চাকরি বাঁচাতে পারে এবং আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে।