প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় করোনা ভাইরাস মো'কাবেলায় জারি করা লকডাউনের ফলে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক খাদ্য সং'কটে ভু'গছেন। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, বি'পদে পড়েছেন ছোট ছোট কারখানার শ্রমিক যারা লেবার কনট্রাকটরদের অধীনে কাজ করেন। লকডাউন প্রায় এক মাস হতে চলেছে। ফলে তাদের মধ্যে খাদ্য স'ঙ্ক'ট দেখা দিয়েছে।
তবে বড় প্ল্যান্টেশন কিংবা কারখানায় কাজ করছেন যেসব শ্রমিক তাদের বিশেষ কোন সম'স্যা হচ্ছে না। বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে কুয়ালালামপুর থেকে একজন মানবাধিকার কর্মী হারুন আল রশিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, লকডাউনের পর মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাদ্য স'ঙ্ক'টের কথা জানিয়েছেন।
হারুন আল রশিদ মালয়েশিয়া ভিত্তিক বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। পরিবহন এবং চলাচলের ওপর নিষে'ধা'জ্ঞার কারণে এদের কাছে খাদ্য সাহায্য পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। মালয়েশিয়ায় বৈধ-অ'বৈ'ধ মিলিয়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস স'ঙ্ক'টে এরা কী অবস্থায় আছেন সেই চিত্রটি পরিষ্কার নয়।
তবে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক খাদ্য সম'স্যা ভু'গছেন বলে বলছেন হারুন আল রশিদ। তিনি বলেন, এ মাসের শুরুতে আমরা এসব শ্রমিকের ওপর একটি ডেটাবেজ তৈরি করেছি। সেই পরিসংখ্যান বলছে ৬০ হাজার শ্রমিক খাদ্য সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। এইসব শ্রমিকরা মূলত কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গর রাজ্যেই বেশি।
জোহর বারু এবং পেনাঙেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করছেন। হারুন আল রশিদ জানান, গোড়ার দিকে মালয়েশিয়ার স্থানীয় কিছু এনজিও এদের কিছুটা সাহায্য করেছেন। কিন্তু লকডাউনের সময় চলাফেরার অনুমতি নেই বলে এদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।
হারুন আল রশিদ বলেন, ক্লাঙ ভ্যালিতে আমাদের ভলান্টিয়াররা খাদ্য বিতরণ করতে সমর্থ হয়েছে, আমাদের কাছে প্রচুর খাবার রয়েছে। কিন্তু চলাচলের অনুমতি নেই বলে সেই খাবার আমরা দূরে নিয়ে বিতরণ করতে পারছি না।