প্রবাস ডেস্ক : ব্রিটেনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন রুফিয়া আশরাফ। ব্রিটেনের নর্থাম্পটন বারা কাউন্সিলের প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন কাউন্সিলার রুফিয়া আশরাফ। রুফিয়া আশরাফ বিরোধী লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে দুবার সেইন্ট জেমস ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথম বারের মতো কাউন্সিলার বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই নর্থাম্পটন বারা কাউন্সিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন রুফিয়া আশরাফ। গত ২১ শে মে করোনাভাইরাসের কারণে কাউন্সিলের বার্ষিক সভা জুম আপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভারচুয়াল সভায় রুফিয়া আশরাফ আগামী এক বছরের জন্য ডেপুটি মেয়র হিসেবে শপথ নেন।
নর্থাম্পটনের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী ডেপুটি মেয়র হয়েছেন। কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে রুফিয়া আশরাফ জানান, নর্থাম্পটনের সাত শত বছরের ইতিহাসে আমি কল্পনা করিনি প্রথম বাংলাদেশী ডেপুটি মেয়র হবো। ডেপুটি মেয়র হওয়ায় আমি অনেক অনেক খুশি। দোয়া করবেন আমি যেনো ভালোভাবে কাজ করে যেতে পারি।
রাজনীতির পাশাপাশি রুফিয়া আশরাফ কমিউনিটির নানা কাজ সফলভাবে সফলভাবে সম্পন্ন করছেন।
তিনি জানান, আমি যখন বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কাজ করতাম তখন তাদের ইংরেজি ভাষা ততটা ভালো ছিলো না। এখানকার বাংলাদেশীরা সব সময় ইংরেজী বুঝতে পারতো না। তাদের জন্য আমি বিভিন্ন স্থানে ফোন করতাম। অফিস আদালতে যোগাযোগ করতাম। অতীতে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য কাজ করেছি ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ।
ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতিতে তরুনদের আসার আহবান জানিয়ে রুফিয়া আশরাফ বলেন, নর্থাম্পটন বারা কাউন্সিলে মাত্র তিনজন বাংলাদেশী কাউন্সিলার আছেন। আমি মতে তরুণদের রাজনীতিতে আসা দরকার। তারা যদি এলে ভালো করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের কমিউনিটিতে আরো বেশি কাউন্সিলার দেখতে চাই। যা কিছু সহযোগিতা লাগে আমি করব।
নর্থাম্পটনের ডালিংটন এলাকার ওয়ারেন রোডের বাসিন্দা ডেপুটি মেয়র রুফিয়া আশরাফ। এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জননী রুফিয়া আশরাফের স্বামী আবু তাহের মোহাম্মদ আশরাফ। রুফিয়া আশরাফের ভাশুর হলেন সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এডভোকেট আফম কামাল। রুফিয়া আশরাফের বাংলাদেশের বাড়ি সিলেট নগরীর ছাড়াদিঘীর পারে। রুফিয়া আশরাফ আগামীতে মেয়র হয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির আরো মুখ উজ্জ্বল করবেন। এটাই সকলের প্রত্যাশা।