প্রবাস ডেস্ক : ইতালির হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে মা'রা যান নার্স নাজমুন নাহার। এক রেমি'ট্যান্স যো'দ্ধা ওই নার্সের লা'শ এখন পড়ে আছে ইতালির মর্গে। নিহ'তের একমাত্র শিশু কন্যাও একাকি একটি ঘরে ব'ন্দী অবস্থায় দিন কা'টাচ্ছে ইতালিতে। এদিকে স্বামী আ'টকা পড়ে আছেন ঢাকায়।
নিহ'ত ওই নার্স নাজমুন নাহারের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও গ্রামে। তার স্বজনদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। জানা যায়, ইতালিতে দীর্ঘদিন ধ'রে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়ে মা'রা গেছেন ৪৫ বছর বয়সী নাজমুন নাহার। গত ১৭ জুন ইতালির মিলানে একটি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় মা'রা যান তিনি।
২০০৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতালিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ হয়। তাদের মধ্যে নাজমুন নাহার একজন ছিলেন। মৃ'তের স্বামী বর্তমানে বাংলাদেশে আ'টকা পড়ে আছেন। আগামী ২৩ জুন একটি চ্যার্টার্ড বিমানে তার ইতালি যাবার কথা রয়েছে। ইতালিতে ম'হামা'রী শুরুর আগে তারা দেশে এসেছিলেন। নাজমুন নাহার ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দেন।
স্বামীর পরে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও আর যাওয়া হয়নি। নাজমুন নাহারের একমাত্র মেয়ে ইতালির বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। তাকে সরকারিভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে বলে অজানা গেছে। ইতালির ভারেজ রিজিওনাল হাসপাতালে মৃ'তের লা'শ সং'র'ক্ষিত আছে।
নাজমুন নাহারের ভাই খোকন বলেন, আমার বোন নাজমুন নাহার স্বামী সন্তান নিয়ে ইতালিতে বসবাস করছে। কি থেকে যে কি হয়ে গেল বুঝতেছি না। ভাগনিটা একা কা'ন্নাকা'টি করছে ওখানে। এই বলে হাও মাও করে কেঁ'দে উঠেন নাজমুন নাহারের ভাই। এদিকে এ খবর কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকায় পৌঁছালে এক শোকের ছায়া নেমে আসে।