প্রবাস ডেস্ক : আবুধাবি ইমিগ্রে'শনের নীতি পরিবর্তনের ফলে ফেরত আসতে হয় ১১২ জন বাংলাদেশিকে। সরকারি খরচে পুনরায় আবুধাবিতে পাঠানোর সুপারিশ তদ'ন্ত কমিটির। আবুধাবি ক'র্তৃপ'ক্ষ সাধারণ অভিবাসী কর্মী প্রবেশের নীতি পরিবর্তনের কারণে মোট ১১২ বাংলাদেশি আবুধাবিতে প্রবেশ করতে পারেনি।
যাওয়ার পরে তাদের সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি আবুধাবি ক'র্তৃপ'ক্ষ লিখিতভাবে বিমান সংস্থা বা দূতাবাসকেও অব'হিত না করায় এ ঘটনায় বিমান সংস্থাগুলোর কোনো দো'ষ ছিল না। বুধবার দুপুরে যাত্রীফেরত পাঠানোর ঘ'টনায় গঠিত তদ'ন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সা'রসংক্ষে'প প্রকা'শ করে এ ত'থ্য জানান সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
কুর্মিটোলায় সিভিল এভিয়েশনের সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান আরও জানান, ১৪ ও ১৬ জুলাইয়ের ফ্লাইটে যাত্রীদের অগ্রিম ত'থ্য পাঠানোর সময় আবুধাবি কর্তৃপক্ষের দেয়া লিঙ্ক চেক করেনি এয়ার অ্যারাবিয়া ও বাংলাদেশ বিমান। এছাড়া ডিপার্চার কন্ট্রোল সিস্টেমে ভুল ঠিকানা দিয়ে যাত্রীদের ত'থ্য পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ বিমান।
এক্ষেত্রে কিছু ভুল থাকলেও যাত্রী ফেরত পাঠানোর মূল কারণ আবুধাবি ই'মিগ্রে'শনের নীতি ও কাজে অস্ব'চ্ছতা। ১০ আগস্ট তারা একটি প্র'জ্ঞা'পন জারি করে অভিবাসী কর্মীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা আবুধাবি যেতে পারবেন, এক্ষেত্রে আইডেনটিটি ফর সিটিজেনশিপ অথরিটির অনুমোদন লাগবে না। কিন্তু দুই দিন পর ১৩ আগস্ট পূর্বের প্রজ্ঞা'পনের নীতি পরিবর্তন করে সংশো'ধ'নী দেয়।
যেখানে যোগ করা হয়, যেসব অভিবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের নির্ধারিত লিংকে গিয়ে যাওয়ার অনুমোদন নিতে হবে। যা দূতাবাস ও বিমান সংস্থাকেও জানানো হয়নি। ফলে বিমান সংস্থা ও যাত্রীদের নীতি সংশো'ধনের বিষয়টি জানা ছিল না। এক্ষেত্রে সাধারণ অভিবাসী বা ব্লু কলার কর্মী প্রবেশে অপ্রকাশিত কৌ'শল অবলম্বনের কারণে ১১২ জন যাত্রীকে ফেরত আসতে হয়।
এ বিষয়ে আবুধাবি ই'মিগ্র'শন কোনো ব্যা'খ্যা দেয়নি। এমনকি পরবর্তী ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও সাধারণ কর্মী প্রবেশের কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা বা গাইডলাইন দেয়নি বলে মফিদুর রহমান। তাদের ই'মিগ্রে'শনের জ'টিলতার কারণে বোর্ডিং পাস না পাওয়ায় দুটি বিমান সংস্থার ২৬টি ফ্লাইটের মোট ৮৬৮ জন যাত্রী আবুধাবি যেতে পারেনি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান ও এয়ার এয়ারবিয়া দুটি বিমান সংস্থাই আর্থিকভাবে ক্ষ'তিগ্র'স্ত হয়েছে।
আবুধাবি ও শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা মোট ৯৮০ জন যাত্রীকে সরকারি খরচে ও ব্যবস্থাপনায় কর্মস্থলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে প্রতিবেদনে সুপা'রিশ করা হয়। এছাড়া আরও বেশ কিছুর সুপা'রিশ করেছে তদন্ত কমিটি। বিভিন্ন মিশনের ই'মিগ্রে'শন ও ভ্রমণ সং'ক্রা'ন্ত হালনাগাদ তথ্য সং'শ্লি'ষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
আগামীতে যে কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিতে ই'মিগ্রে'শনের হাল'নাগা'দ নিয়মনীতি প্রকাশের জন্য বিমানবন্দরে অনলাইন পোর্টাল খোলা। আবুধাবি এপিআই বা এডভান্স ই'নফ'রমে'শন সিস্টেমে কোনো সম'স্যা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে প্রবাসী কল্যাণ বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরেকটি তদ'ন্ত কমিটি গঠনের সুপা'রিশ করা হয়।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া প্রবাসীদের মেয়াদ বাড়াতেও কূ'টনৈ'তিক উদ্যোগ নিতে বলা হয়। গত ১৭ আগস্ট আবুধাবি থেকে ফেরত আসা ৬৮ জন প্রবাসী বিমানবন্দরে বি'ক্ষো'ভ ও ক্ষ'তিপূ'রণ দাবি করার পর যাত্রী ফেরত আসার কারণ জানতে ৫ সদস্যের তদ'ন্ত কমিটি গঠন করা হয়।