তসলিমা নাসরিন : বাংলাদেশে একটা আল্লামা মরছে, মনে হইতাছে আল-লা ম'রছে। এলাহি কা'ণ্ড শুরু হইয়া গেছে। জানাজায় ১০ প্লা'টুন পুলিশ দিতাছে সরকার। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী তো আছেই বেবাক মন্ত্রী আমলা কা'ন্দাকা'টি শুরু করছে। আল্লামার বয়স হইছিল ১০৪। অথচ ডায়বেটিস হাই'পারটে'নশা'ন সব ছিল। এত রোগ থাকতে বাঁচে কেমনে এত বছর?
ওইসব রোগ মানুষের থাকলে আয়ু অর্ধেক কইমা যায়। তার কেন বাড়লো? মানুষে্র রোগ-শো'কে পল্যু'টেড পড়াপানি খাওয়াইলেও সে নিজের অসুখ বিসুখ সারাইতে বিদেশের বড় বড় ডাক্তারের কাছে বড় বড় হাস্পাতালে উইড়া উইড়া গেছে। ভালো ট্রিটমেন্ট পাইছে তাই বাঁচছে। এখন তো ম'রছে, আ'পদ বিদায় হইছে। কিন্তু এলাহি কা'ণ্ড কেন? কার জন্য? ওই লোক কী ভালো কাজটা করছে জীবনে?
মৌলবা'দী তৈরির কারখানা মাদ্রাসা বানাইসে, যেই মাদ্রাসায় ম'গজধো'লাই কইরা দেশের ভবিষ্যতের সর্বনাশ করা হয়। আর কী করছে? যে আল্লাহ বিশ্বাস করে না তারে মা'ইরা ফেলার কথা কইছে। মানুষরে খু'নী স'ন্ত্রা'সী হওয়ার ই'ন্ধ'ন জুগা'ইছে। আর? মেয়েদের ফাইভ ক্লাসের বেশী পড়তে না করছে, স্বামীর বা'ন্দিগি'রি কইরা জীবন পার করতে কইছে আর এক পা ঘরের বাইর হইলে বোরখায় আ'পাদম'স্তক ঢাকতে কইছে কারণ মেয়েরা নাকি তেঁতুল, খোলা থাকলে পুরুষলোকের লালা ঝ'রবে, খালি খাইতে ইচ্ছা করবে।
বড় মাপের নারীবি'দ্বে'ষী, সমাজ-ধং'সকা'রী কুলা'ঙ্গারের জন্য হাহাকার করতাছে দেশের লক্ষ লক্ষ ছোট মাপের না'রীবি'দ্বে'ষী, সমাজ-ধং'সকা'রী কুলা'ঙ্গাররা। আল্লামার দেখাইয়া দেওয়া পথে হাঁ'টবে তারা। মেয়েদের তেঁতুল মনে ক'ইরা চা'টবে, খাবে। মেয়েদের কীভাবে ভো'গের বস্তু, চাকর বাকর আর ইতর জাতীয় নোং'রা কিছু ভাবতে হবে, এবং ঘৃ'ণা করতে হবে তা ব্যাটা সুন্দর কইরা গুছাইয়া শিখাইয়া দিয়া গেছে পুরুষজাতরে। এই শিক্ষকরে হা'রাইয়া পুরা দেশবাসী চোখের পানি ফেলবে, কা'নবে, চিল্লা'ইয়া কানবে -- এ তো নিও নর'মাল। সূত্র : তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে