শাশ্বত রায়, আজারবাইজান থেকে : গাড়ির হর্নের প্যা-পো শব্দে সকালে ঘুম ভেঙে গেল। ইউরোপের দেশগুলির মতোই আজারবাইজানের রাস্তায় সাধারণত গাড়ির হর্ন বাজানো হয়না। বিশেষ কোনও আনন্দের বহির্প্রকাশ ঘটাতে চালকেরা হর্ন বাজিয়ে গাড়ি চালান। বাইরে উঁকি দিয়ে দেখি শতশত কিশোর-কিশোরীরা আজারবাইজানের পতাকা হাতে নিয়ে হাসিমুখে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে।
রাস্তায় নেমে লোকমুখে জানতে পারলাম প্রায় দুই মাস পর বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে চলমান সামরিক সংঘাত নিরসনে শান্তি চুক্তিতে সই করেছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়া। চুক্তির আওতায় নাগোরনো কারাবাখে শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। এর আগে প্রতি সপ্তাহেই দুয়েক বার কোনও না কোনও অঞ্চল 'স্বাধীন' (আসলে নিয়ন্ত্রণে) হবার খবর পাওয়া যেত।
বেশ কয়েকবার আজারবাইজানের বেসামরিক লোকজনের উপর আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনীর এক তরফা আগ্রাসন এবং আক্রমণের জের ধরে দীর্ঘ বিশ বছর পর আজারবাইজান তাদের কারাবাখ প্রদেশকে আর্মেনিয়ার দখলদারিত্ব থেকে পুনরায় মুক্ত করতে অফিশিয়ালভাবে এ যুদ্ধ শুরু করেছিল। এবারের যুদ্ধে দুই পক্ষই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আর্মেনিয়ার পাল্লা এক্ষেত্রে একটু বেশি ভারী।
বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্যের পাশাপাশি এ যুদ্ধে আর্মেনিয়া হারিয়েছে তাদের সামরিক অস্ত্র, ট্যাংক, যুদ্ধ বিমান এবং সর্বোপরি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখা কারাবাখের জমি। সমগ্র আজারবাইজানের ভেতর মাত্র তিনটা শহরে বাংলাদেশি প্রবাসীরা সাধারণত বসবাস করেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগের বসবাস রাজধানী বাকুতে। বাদবাকিদের একটি অংশ থাকেন নাকচিবান এবং অন্যরা গ্যানজা শহরে। এখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই ছাত্রছাত্রী।
হাতে গোনা দুয়েকজন ব্যবসায়ী আছেন। তবে সিঙ্গাপুরের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কর্মরত কিছু শ্রমিক তাদের কোম্পানির চুক্তিতে এসে আজারবাইজানে জাহাজ নির্মাণের কাজ করেন। তাদের বেতন, আবাসন সবকিছুই সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো বহন করে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আজারবাইজানে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০ জন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভাগ্য পরিবর্তন করতে উন্নত জীবনের খোঁজে অন্য কোনও দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
কেউ পড়াশোনার ভিসা, কেউ চাকরির ভিসায় নতুন কোনও দেশে গিয়েছেন। কেউ বা অবৈধ পথে তুরস্কের সীমানায় প্রবেশ করে সেখান থেকে পুনরায় অবৈধ পথে গ্রিসে পৌঁছে, সেখানকার অভিবাসী হবার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে আজারবাইজানে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা সব মিলিয়ে আনুমানিক পঞ্চাশজন হবে। আমরা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে মোট ছয়জন বাংলাদেশি আজারবাইজানের গ্যানজা শহরে থাকি। বাকিরা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন।
চলাফেরা করার মতো ভাষাশিক্ষা নেওয়ার পর কেউ কেউ স্নাতক, কেউ বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অধ্যয়নরত আছেন। এখানকার সরকারি আইন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা গ্রহণরত অবস্থায় দেশি-বিদেশি কোনও শিক্ষার্থী কোনও প্রকার চাকরি করতে পারেন না। বিশেষত কোন বিদেশি শিক্ষার্থী এখানে যেকোনও প্রকার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় ধরা পড়লে প্রথম দফায় তিনশ মানাত (বাংলাদেশি টাকায় পনের হাজার টাকা) জরিমানা এবং দ্বিতীয় দফায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
তবে কিছু কিছু প্রাইভেট ভাষাশিক্ষার স্কুল আছে, যেখানে একাধিক বিদেশি ভাষাগত যোগ্যতা থাকলে পার্টটাইম শিক্ষকতার পেশায় নামা যায়। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকর্মীরা তেমন কোনও খবরদারিতে যায় না। আজারবাইজানের প্রধান উপার্জন আসে তেল এবং গ্যাস বিক্রির মাধ্যমে। তবে কয়েক বছর ধরে আজারবাইজান সরকার কৃষি বিষয়ের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করছে।
তারা বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞদের খুব বেশি বেতনে ভাড়া করে এনে এখানকার পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ দিয়েছে। কৃষি বিভাগে বিদেশি এক্সপার্ট এবং স্পেশালিস্টদের মাসিক বেতনের পরিমাণ তিন হাজার মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে পয়ত্রিশ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাই আজারবাইজান হতে পারে ভবিষ্যত পেশাগত ক্যারিয়ার গড়ার জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
আজারবাইজানিরা জাতিগতভাবে খুবই অতিথিপরায়ন এবং সহনশীল। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও খ্রিস্টান, ইহুদী এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এখানে এসে প্রকাশ্যে তাদের ধর্মের চর্চা ও প্রচার করতে পারে। অবিশ্বাসীদের জন্যেও মুক্তভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে দেশটিতে। তবে পারিবারিক বিষয়াদি, আর জেনেটিক মিশ্রণের ব্যাপারে সচেতন বলে এরা বিদেশিদের একটু দূরে রাখতে পছন্দ করে।
পুলিশ বিভাগে এবং সরকারি অফিসগুলোতে বাংলাদেশের মতোই দুর্নীতি চলে। তবে সেই দুর্নীতিগুলো আকার-আকৃতিতে বাংলাদেশের দুর্নীতির তুলনায় অনেক ছোট হয়। এখানকার মানুষেরা জীবন সম্বন্ধে খুবই উদাসীন। এ উদাসীনতাই হয়তো সীমিত সম্পদের মধ্যেই তাদের মন খুলে হাসার, ঈর্ষাকাতর জীবনকে এড়িয়ে চলার সাহস জোগায়। এখানকার লেখাপড়া এবং দৈনন্দিন জীবনের খরচ বাংলাদেশের মতোই, রকমফেরে বাংলাদেশের চেয়েও কম। তাই অনেক দরিদ্র দেশের শিক্ষার্থীরা আজারবাইজানকে পছন্দ করেন তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য।
তুরস্ক এবং আজারবাইজানের মানুষ জেনেটিকভাবে জাতিতে এক (তুর্ক)। এজন্য এই দুই দেশ পরষ্পরের সাথে সব সময় ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজিয়ে রাখে। এখানকার মানুষেরা যেকোনও জয়ের আনন্দে দুটি দেশের পতাকাই একত্রে উঁচু করে ধরে। আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার এই যুদ্ধে, আজারবাইজান তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে ইসরায়েল এবং তুরস্ক থেকে। বিগত বিশ বছরে আজারবাইজান কেবল ইসরায়েল থেকেই প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে।
পাশাপাশি, পাকিস্তান এবং তুরস্ক তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী পাঠিয়ে আজারবাইজানকে এই যুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। পক্ষান্তরে আর্মেনিয়া নানানভাবে সহযোগিতা পেয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে। শেষতক যেসব অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে, আমাদের গ্যানজা শহরটি সেখান থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।
প্রথমত সীমান্ত অঞ্চলেই যুদ্ধের ভয়াবহতা সীমাবদ্ধ ছিল। যেদিন থেকে আর্মেনিয়া বুঝতে পেরেছে যে আজারবাইজানি সামরিক শক্তির সামনে তারা পিছু হটতে বাধ্য, তখন থেকেই তারা আজারবাইজানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ নাগরিকদের উপর তারা অস্ত্র তাক করেছে। বোমা ফেলেছে। সেই সব আক্রান্ত এলাকার মধ্যে গ্যানজা, বারদা, নাকচিবান শহরগুলি উল্লেখযোগ্য।
সাধারণ জনগণের উপর আর্মেনিয়ার এ সামরিক আক্রমণই আমাদের মতো প্রবাসীদের বাধ্য করেছে গ্যানজা শহর ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে আসতে। শুধু আমরা প্রবাসীরাই নই, বিধ্বস্ত অঞ্চলের স্থানীয়রাও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্য নিরাপদ জায়গায় এসে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশই কোনও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনরাও বিপদগ্রস্তদের নিবিড় ভালবাসায় বুকে টেনে নিয়েছেন।
আর যারা পেশাগত কারণবশত বা অন্য কোন অসহায়ত্বের জন্য নিজেদের এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারছেন না, তারা জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিকে বরণ করে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে আমাদের প্রবাসীদের জন্য বিষয়টি একটু অন্যরকম। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সৃষ্ট সমস্যাগুলির কারণে আমাদের শিক্ষা এবং পেশাগত ব্যবস্থাগুলো প্রায় দশমাস যাবত পঙ্গু হয়ে আছে।
তার ভেতর আকস্মিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত এই যুদ্ধের ঝুটঝামেলায় আমাদের স্বাভাবিক জীবন অনেক বেশি দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সাথে আজারবাইজানের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় এখানে আমাদের কোন দূতাবাস নেই। ২০১৯ এর ন্যাম (NAM) কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজানে এসেছিলেন, তখন তিনি আজারবাইজানের সাথে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিনিময়ের একটি চুক্তি স্থাপন করে যান।
সেটাই আজারবাইজানের সাথে বাংলাদেশের প্রথম এবং শেষ কূটনৈতিক চুক্তি। এজন্য করোনাভাইরাস মহামারীর সময় থেকেই আমরা মানসিকভাবে কিছুটা অসহায়ত্বে ভুগছি। তখন বিমান টিকেটের মূল্য প্রায় আটগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা দেশে ফিরে যাবার চিন্তা এক অর্থে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি। তবে এখন এ দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ নেই বললেই চলে।
আজারবাইজান, তুরস্ক, জর্জিয়া এই দেশগুলিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্যে তুরস্কের আনকারা শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসটি দায়বদ্ধ। মহামারীর পিরিয়ডে সেখানকার সরকারি আমলাদের অফিশিয়াল ই-মেইলে যোগাযোগ করেও কোনওপ্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি। তারপর তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ দেওয়ার পর, তারা মেসেজ পড়েও কোনও পাল্টা উত্তর পাঠাননি।
পরবর্তীতে এখানকার প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রবাসী ছাত্রছাত্রীরা অর্থনৈতিক সাহায্য পেয়েছিল সেই দুর্যোগ সামাল দিতে। একজন প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এ ধরণের আচরণ আমার কাছে নতুন কিছু নয়। জার্মানিতে থাকার সময়েও অনেকবার এদের দেখেছি দায়িত্ব পালনের সময় এলে মুখ ফিরিয়ে নিতে।
দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে কোনও বাংলাদেশি নাগরিকের (ছাত্র বা কর্মজীবী) মৃত্যু হলে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট কমিউনিটি এবং কালচারাল কমিউনিটিকেই মানবতার খাতিরে সার্বিক দায়-দায়িত্বগুলি বহন করতে হয়েছে মরদেহ দেশে পাঠানো অথবা পরবর্তী যাবতীয় পদক্ষেপের জন্য। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের বিষয় জানানো হলে, তারা প্রত্যেকবারই একটা আশ্বাস দিয়ে, দ্বিতীয়বার আর ফোন রিসিভ না করার অভিজ্ঞতা হয়েছে বারবার।
সে যাইহোক, যুদ্ধের কারণে অন্য শহরে এসে অস্থায়ী আবাসনের জন্য আমাদের খরচের পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। সাধারণত যুদ্ধের মতো জরুরি অবস্থায় বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সহযোগিতা দিতে কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে সব দেশে। কিন্তু এখানে তেমন কোনও প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেল না।
ক্যাথলিক চার্চের অর্থায়নে কারিতাস নামক একটি সংস্থা অনেক দেশেই স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে বিপদাপন্নদের অস্থায়ী আবাসন এবং ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে থাকে। ইন্টারনেটে সেই কারিতাসের ওয়েবসাইট এবং অফিসের ঠিকানা মিললেও বাস্তবে সেই অফিসের কোনও হদিস পাইনি। আমরা আগে থেকেই একটু-আধটু জানতাম যে এখানকার মানবাধিকার এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলির অ্যাক্টিভিটি অনেক দুর্বল। এখন বাস্তবেও তার কিছু প্রমাণ মিললো।
তবে এতোকিছুর মধ্যেও আমরা ভেঙে পড়িনি। অস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকট ছাড়া অন্য কোনও ধরনের সমস্যায় ভুগছি না আমরা। বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, নাইজেরিয়ান, ইরানি এবং আজেরি এই কয়েক জাতির বন্ধুবান্ধব মিলে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছি। একটা নির্ঝঞ্চাট, নিবিড় জীবন কাটানোর পেছনে যে মাত্রাতিরিক্ত টাকাপয়সা তেমন কোনও ভূমিকা রাখেনা। আজারবাইজানীদের সঙ্গে বসবাস করলে এটি শেখা যায়, অনুভব করা যায়। আর তাই আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম এই যুদ্ধের অবসানের দিনটির জন্য।
আমরা যে সুন্দর নিবিড় জীবন ফিরে পাবার জন্য অপেক্ষা করেছি, যে জীবন আমরা যাপন করে এসেছি আজারবাইজানে এসে পৌঁছানোর প্রথম দিন থেকে- নাগোরনো কারাবাখে শান্তিরক্ষী রাশিয়ার শান্তিরক্ষী সেনা-মোতায়েন এর পর আশা করছি আপাতত সেটি ফিরে পাবো। লেখক: শিক্ষার্থী, ইমেইল: [email protected] সূত্র : বিডি নিউজ