অমিতাভ ভট্টশালী : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক নূর হোসেন তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া পেছতে চাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার মি. হোসেনের বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছে।
আজ সেই আবেদনের শুনানি ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে।
মি. হোসেনের পক্ষ নিয়ে আজই প্রথম কোনো উকিল হাজির হন।
আইনজীবী অনুপ ঘোষ তার আবেদনে জানান যে, তাদের বক্তব্যও যেন আদালত শোনেন।
প্রথমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুনানির দিন দেয়া হয়। পরে সরকারি উকিল মামলাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করলে নভেম্বরের গোড়াতেই শুনানির দিন দেয়া হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দায়ের করা ওই আবেদনে সরকার জানিয়েছে, মি. হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগী অপরাধী। তার নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস রয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি ভারতে এসে বেআইনিভাবে লুকিয়ে ছিলেন।
আবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মি. হোসেনকে নিজেদের দেশে ফেরত নিতে চেয়েছে। সেজন্যই সরকার অনুপ্রবেশের মামলাটি প্রত্যাহার করে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়।
এ আবেদনের কপি রাজ্য সরকারের 'গোপন বিভাগে'ও পাঠানো হয়েছে, যারা এ ধরনের অতি স্পর্শকাতর বিষয়গুলির ওপরে নজর রাখে।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছিল যে, ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এদেশে যে অপরাধ করছেন মি. হোসেন তার বিচার এবং শাস্তি হওয়ার পরে তাকে ফেরত পাঠানো যাবে, নাকি
বিচার চলাকালীন সরকার মামলা তুলে নিলে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করা যাবে তাকে।
সরকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন দে জানান, আদালতের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে বিচারের যেকোনো পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আর্জি মেনে নেয়া যেতে পারে।
তবে সরকার কোন প্রেক্ষিতে মামলাটি তুলতে চাচ্ছে বা অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সেদেশে কত গুরুতর মামলা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আদালত খতিয়ে দেখবে।
নূর হোসেন আর তার দুই সঙ্গী গত বছর ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে কৈখালী এলাকায় গ্রেপ্তার হন। সূত্র : বিবিসি
২১ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম