মালয়েশিয়ায় করোনা মহামারী এবং লকডাউনেও অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তাছাড়া দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ থাকা বিভিন্ন কাজের সাইটগুলো যেখানে প্রবাসীরা
কর্মরত ছিলেন সেই কর্মক্ষেত্রগুলো খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতে করে প্রবাসী কমিউনিটি শিবিরে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব।
এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের যৌথ অভিযানে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের ১২ জন অভিবাসী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে এবং অপর অভিযানে ৭ অভিবাসীকে ভিসার অপব্যবহারের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির প্রিমিস সেক্টর প্রেসিন্ট ৯ এবং ১০ নম্বর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ১২ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
আটককৃতরা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের নাগরিক। অভিবাসন বিভাগ বলছে, তাদের কাছে দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থান করার পারমিট ছিল না। তাই তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার জাতীয় অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করার পর এখন দেশটির সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ৭ জন ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া নারী ও পুরুষ শ্রমিককে কুয়ালালামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের অপরাধ শাহআলম নামক এলাকার একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে ভিসা ও পারমিটের অপব্যবহার করে চাকরি করে আসছিলেন। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার রিংগিত জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।
প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে ব্যাপকহারে অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলো খোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এত দিন ধরে বন্ধ থাকা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ সেক্টর, কল-কারখানা, পর্যটনস্পট, বিনোদন কেন্দ্র, দোকানপাটসহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে এসব অর্থনৈতিক খাতগুলো পরিচালনা করবেন যারা ইতোমধ্যে ডাবল ডোজ টিকা নিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে পার করেছেন। এই অবস্থায় প্রবাসীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। যারা লকডাউনে কাজকর্ম হারিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিলেন।