প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নাসা) প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি পেয়েছেন নীলফামারীর ছেলে এরশাদ কবির চয়ন। নাসায় তথ্য প্রকৌশলী (ডাটা ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। আগামী ৭ মার্চ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। তিনি আরলিংটন ভার্জিনিয়ায় দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রকৌশলী এরশাদ কবির চয়ন জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমেরিকাপ্রবাসী মো. খতিব উদ্দিন সরকারের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ২০২০ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে তথ্যবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
জানা গেছে, ডাইভারসিটি ভিসায় (ডিভি) সুযোগ পেয়ে ১৯৯৫ সালে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় যান এরশাদের বাবা মো. খতিব উদ্দীন সরকার। পরে ২০০১ সালে নীলফামারীর জেলা শহরে একটি বেসরকারি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে নার্সারি পড়াকালীন ৭ বছরের ছেলে এরশাদসহ স্ত্রী অফিজা আক্তারকে নিয়ে যান আমেরিকায়। সেখানে বেনসালেম শহরে বসবাস শুরু করেন তারা। এরপর এরশাদকে ভর্তি করা হয় আমেরিকার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে। তারপর থেকে সে অনেক ভালো ফলাফল করতে শুরু করে।
স্কুল গ্রাজুয়েশনেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬০০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সে প্রথম থেকে ১০ম অবস্থানে ছিল। এরপর এরশাদ ডক্টর অফ ফার্মেসি প্রোগ্রামে ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স ফিলাডেলফিয়াতে ভর্তি হয়ে এক বছরের মতো ক্লাস করার পর আর্কেডিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ফিলাডেলফিয়া থেকে ২০১৬ সালে তথ্যবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে। পরে পড়াশোনার পাশাপাশি এডুকেয়ার নামে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি।
চয়নের বাবা খতিব উদ্দিন সরকার বলেন, ছেলের এমন অর্জনে অনেক ভালো লাগছে। এটা নিশ্চয়ই গর্বের বিষয়। আরও আনন্দ লাগছে সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। ছোট থেকেই সে অনেক মেধাবী। স্কুল গ্রাজুয়েশনের সময় ফুল স্কলারশিপে কম খরচে লেখাপড়া করেছে সে। ছেলের স্বপ্ন ছিল সে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু আমি তাকে মেডিকেলে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। এক বছরের মতো সেখানে ক্লাসও করেছে। এরপর তার সেখানে ভালো না লাগায় আর্কেডিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ফিলাডেলফিয়া থেকে তথ্যবিজ্ঞানে স্নাতক এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে।