বুধবার, ০৯ মার্চ, ২০২২, ০২:৫৪:৪৩

'ও, ভাই, আমার ভাইরে আইনা দেন, আমার পড়া‌লেখার খরচ কে চালা‌বে, আমাদের সব শেষ'

'ও, ভাই, আমার ভাইরে আইনা দেন, আমার পড়া‌লেখার খরচ কে চালা‌বে, আমাদের সব শেষ'

প্রবাস ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনও। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে দুই পক্ষের।

ও, ভাই। আমার ভাইরে আইনা দেন। ও, ভাই। আমার পড়া‌লেখার খরচ কে চালা‌বে। আমাদের সব শেষ। ভাইরে, আমার ভাই। কথাগু‌লো বল‌ছি‌লেন ইউ‌ক্রেনে বাংলাদেশের জাহাজে রুশ হামলায় নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। বাংলাদেশ সময় ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার শিকার হয় জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। এতে জাহাজটিতে থাকা ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিকের একজন নিহত হন। 

ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে আজ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দুপুরে তারা ঢাকা পৌঁছেছেন। নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরের পরিবার ভেবেছিল এই ২৮ জনের সঙ্গে হাদিসুরের মরদেহও আসবে। সে জন্য তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন।   

তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, রকেট হামলায় নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ নিরাপদ জায়গায় নিয়ে হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

দুপুর ১টার আগে বিমানবন্দ‌রের সিআইপি গেটে এসে পৌঁছান হাদিসুরের ভাই। ক‌য়েক মি‌নিট অপেক্ষার পর ভাই‌, ভাই ব‌লে চিৎকার কর‌তে থা‌কেন।  এক পর্যা‌য়ে কণ্ঠ ভে‌ঙে আসে ত‌ার। কাঁদতে কাঁদতে মে‌ঝে‌তে লু‌টি‌য়ে প‌ড়েন প্রিন্স। বেশ কিছুটা সময় ভাই, ভাই ব‌লে মে‌ঝে‌তে গড়াগ‌ড়ি কর‌তে থা‌কেন। প‌রে তি‌নি উঠে দাঁড়ান। আর ভাই, ভাই ব‌লে চিৎকার কর‌তে থা‌কেন।

সেখা‌নে তি‌নি ব‌লেন, আমরা পত্রপ‌ত্রিকায় দে‌খে‌ছি আমার ভাই (মরদেহ) আসবে। আমার ভাই, কখন আসবে সেটা জান‌তে চে‌য়ে‌ছি। কিন্তু তারা কিছুই বল‌ছে না।

প্রিন্স যেখানে কান্নাকাটি করছিলেন তার একটু স‌াম‌নে গেটের বাইরে নিহত না‌বিক হাদিসু‌রের বাবা-মাও কান্নাকাটি করছিলেন। হা‌দিসু‌রের বাবা একবার মে‌ঝে‌তে প‌ড়ে যান। তিনিও আহাজারি করতে থাকেন আমার ছে‌লে‌রে আইনা দাও ব‌লে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে