প্রবাস ডেস্ক : দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম চলাকালীন ভারতের ইউনিয়ন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেইটলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ২১ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকটি চলে প্রায় চল্লিশ মিনিট। বৈঠকে ভারত সরকারের মুদ্রা ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের ক্ষুদ্রঋণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণে রিফাইনান্সিং সুবিধা দিতে ভারতে সম্প্রতি মুদ্রা ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রফেসর ড. ইউনূস ভারতের ক্ষুদ্রঋণ এনজিওদের ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংকে পরিণত হতে ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদানের দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। দরিদ্রতম মানুষদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে এটি সবচেয়ে যথাযথ পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।
এর মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে পারবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস। সম্প্রতি প্রবর্তিত ভারতের নতুন কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) আইনেরও প্রশংসা করেন তিনি। এ আইনে ব্যবসাগুলোকে তাদের মুনাফার ২% সিএসআর কর্মকাণ্ডের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে।
ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বেকার তরুণদের উদ্যোক্তায় পরিণত হতে ভারতীয় সরকারের কর্মসূচি বর্ণনা করেন। জেইটলী বলেন, এক লাখেরও বেশি তরুণকে এরই মধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস এ সময় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামাজিক ব্যবসার সম্প্রসারণ সম্পর্কে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীকে ধারণা দেন।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসা কর্মসূচি এবং এ কর্মসূচি কীভাবে বাংলাদেশের বেকারদের উদ্যোক্তায় পরিণত করছে- এ বিষয়ে ড. ইউনূসের কাছে বিস্তারিত জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভারতীয় কর্মসূচি ও বাংলাদেশের কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য কী তাও জানতে চান তিনি।
২৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম