বুধবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:০৬:২২

কর্মী হিসেবে যারা সৌদি যেতে চান, তাদের জন্য বড় সুখবর!

কর্মী হিসেবে যারা সৌদি যেতে চান, তাদের জন্য বড় সুখবর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যারা সৌদি যেতে চান, তাদের জন্য বড় সুখবর! বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি খাতে পেশাদার দক্ষ কর্মী নেবে সৌদি আরব। এগুলো হলো- প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং এসি মেকানিক।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ঢাকার সৌদি দূতাবাসে মঙ্গলবার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সঙ্গে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির (এসভিপি) আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম এবং বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম বলেন সৌদি আরবে পাঁচটি খাতে বিদেশিদের কাজ করতে হলে ওই দেশের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ওই খাতগুলোতে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশিদের পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণত অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন ৮শ থেকে ১২শ রিয়াল। তবে দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫শ থেকে ১৮শ রিয়াল। প্রতি রিয়াল ৩০ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৪ হাজার টাকা।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিএমইটি ও সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানল’র মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এজন্য শ্রমিকদের কোনো অর্থ লাগবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে ৫ বছর। বিএমইটি এর সঙ্গে যৌথভাবে এ সব কাজ পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানে ইতোমধ্যে এ ধরনের পরীক্ষা চালু হয়েছে। তবে সাধারণ শ্রমিকদের এ ধরনের কোনও পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট এই পাঁচটিখাতে সৌদি আরবে কাজ করতে হলে সার্টিফিকেট লাগবে।’

এই সার্টিফিকেটের সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জনশক্তিতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা। দ্বিতীয়ত, সার্টিফিকেট প্রাপ্তরা অন্য দেশের শ্রমিকদের থেকে বেশি সক্ষম হবে। তৃতীয়ত, তারা বেশি আয় করার সুযোগ পাবে।

পরীক্ষায় কী কী বিষয় থাকতে পারে প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরবি ভাষা ও কিছু রীতি-নীতি এবং তারা নতুন যন্ত্রপাতি যেমন- মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা, সেটি আমরা দেখবো।’

তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একাধিক সৌদি ব্যবসায়ী আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’

নতুন এই ব্যবস্থার কারণে প্রথাগত শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে কোনও বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পাঁচ হাজার ভিসা ইস্যু করছি।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘আমরা হয়তো দক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে থাকি। কিন্তু তাদের  কোনও স্বীকৃতি নেই। এই ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ওই শ্রমিকদের দক্ষতার সনদ দেওয়া হবে। সেটি দেবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাকানলের মাধ্যমে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

আরবি শিখতে হবে উল্লেখ করে বিএমইটি মহাপরিচালক বলেন, পরীক্ষার কোনো সময় সীমা থাকবে না।  ট্রেনিং সেন্টারগুলো কমপ্লায়েন্স করে নেওয়া হবে। পাঁচটিখাতে বছরে বেশি কর্মী যাবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে