এনায়েত হোসেন সোহেল, (প্যারিস), ফ্রান্স থেকে: দীর্ঘ পনের বছর পর বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দ্বার উম্মোচিত হওয়ায় শোকরানা আদায় করেছে ফ্রান্সে বসবাসরত বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রবাসীরা। এ সময় মিষ্ঠি বিতরণ করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে প্যারিসের গার দো নোর্দের প্যারিজিয়ান রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ানীবাজার সমাজ কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আমিনুর রশিদ টিপুর সভাপতিত্বে ও মোয়াজ্জেম হোসেন কামালের পরিচালনায় শোকরানা আদায় ও মিষ্ঠি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার সমাজ কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সভাপতি আহমেদ খালেদ মুসা,প্যারিস -বাংলা প্রেস ক্লবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এনায়েত হোসেন সোহেল,বিয়ানীবাজার সমাজ কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহমদ,সারোয়ার হোসেন,আশরাফুল ইসলাম ছোটন,আব্দুল খালিক বলু ,নজমুল হোসেন,জালাল আহমদ,আব্দুল বাসিত,কফিল উদ্দিন,জুবের আহমদ,আসলাম আহমদ,লুত্ফুর রহমান,লিমন আহমদ,আকবর হোসেন,জয়নাল হোসেন,রাজেল আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা দীর্ঘদিন পর বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচনের দ্বার উন্মোচিত হয়ে শোকরানা আদায় করেন এবং অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সৎ,যোগ্য প্রাথীকে জয়যুক্ত করে পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। পরে উভয় উভয়ের মধ্যে মিষ্ঠি বিতরণ করেন।
,
উল্লেখ্য ,বিয়ানীবাজারে মোট ভোটার ১লক্ষ ৬৪ হাজার ৩শত ৮৪জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পৌরসভায় ২৪ হাজার ৫ শত ৮৪জন। বিয়ানীবাজার পৌরসভা ২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হবার পর থেকে প্রশাসক হিসাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহীকে দায়িত্ব দিলে মন্ত্রণালয়ের আদেশের উপর হাইর্কোটে রীট পীটিশন দায়ের করেন বিয়ানীবাজার ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তফজ্জুল হোসেন। তার দায়ের করা রীট পীটিশন (২৩৭৫/২০০১) এর আলোকে আদালত পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালনের আদেশ দেন। তার পর শুরু হয় ক্ষমতায় ঠিকে থাকার কৌশল হিসেবে দেয়া হয় একের পর এক মামলা। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রীও টনক নাড়াতে পারেননি নির্বাচন প্রক্রিয়ার। চলতে থাকে রাজনৈতিক ,আঞ্চলিক ক্ষমতার মারপ্যাচ। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে মামলা জটিলতা থাকার কারণে বাধা গ্রস্ত ছিল এ সকল মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে। অবশেষে গত বুধবার সুপীম কোর্টের আপিল বিভাগ বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনের (৬০১/২০০৯) দায়ের করা আপিল মামলা নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চে শুনানী শেষে প্রধান বিচারপতি রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক পদে তফজ্জুল হোসেন থাকার বৈধতা নেই বলে রায় হয় । একই সাথে একশত টাকা অর্থ জরিমানা করেন আদালত।
যে মামলা গুলো করা হয় সেগুলো হলো - গ্রামের ফখরুল হুদা খান (২৯৯৮/০২), নবাং গ্রামের আবদুল মন্নান (৪২৫১/০২), নিদনপুর গ্রামের মনির আলী (২৩২৫/০২), লুৎফুর রহমান খান (৩০৩৫/০৩), কুড়ারবাজার ইউনিয়নের লাউঝারি গ্রামের আলকাছ আলী (৯১৪/০৯), কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির চাটাল এলাকার রাজা মিয়া (৭৬০৭/০৯) এবং পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (৯০৬/২০১৩)।
২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস